:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। এতে এরদোয়ান বেসরকারি প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ১৪ মে তুরস্কে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কেমাল কিলিচদারওলু। তাঁর ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় স্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগান পরে এরদোয়ানকে সমর্থন জানান।
রানঅফেও মোট ভোটারের সংখ্যা ৬৪ মিলিয়ন। তুরস্কের ইতিহাসে এটিই প্রথম রানঅফ।
প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। এক টুইটে কাতারের আমির বলেছেন, ‘প্রিয় ভাই আমার রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, আপনার বিজয়ে অভিনন্দন। নতুন মেয়াদে আপনার সাফল্য কামনা করছি।’
২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোয়ান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।
৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোয়ানের পেশিবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোয়ানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধলাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।