:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
পেনশন স্কিমকে মানুষের টাকা চুরির নতুন ফন্দি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর দয়াগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু নাই, দেশটাকে ফোকলা বানিয়েছে (সরকার)। এখন আবার আরেকটা নতুন কায়দা বের করেছে—পেনশন স্কিম। মানুষের টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি। ওই টাকা চুরি করে নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এবার তা হতে দেবে না।’
আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন এখন মুখে হাসি নাই, চকচকা কাপড় এখন কম পরে।’
পুলিশের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশের বড় ৯ অফিসার আমেরিকায় যেতে পারেন না। সেখানে সম্পদ কীভাবে রক্ষা করবেন, সেই চিন্তায় রাতে তাঁদের ঘুম হয় না। আমরা বলতে চাই পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দুর্নীতি করেন না।’
সমাবেশ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানান ফখরুল। অন্যথায় সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দয়াগঞ্জে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে মির্জা ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ‘টম ল্যান্টস হিউম্যান রাইটস কমিশন’ আয়োজিত ভার্চুয়াল শুনানির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ প্রায়ই দমনপীড়নের শিকার হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ করা হচ্ছে। এজন্য তারা আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর বললে হবে না। কোনো দিকেই আপনাদের পালাবার পথ নাই। ভালোয় ভালোয় বিদায় হোন। জনগণ জানে কীভাবে সরাতে হয়।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদেরই উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ১৪ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তবে চ্যালেঞ্জ এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সকালে মার্কিনদের গালি দেয় বিকালে আবার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে তারাই আমাদের বন্ধু।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমদ রবিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তরের গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।