:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ক্রিস ওকসের বলে বাউন্ডারির হ্যাটট্রিক করে লিটন দাস তো লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকেই বিপরীত চিত্র। রিস টপলি বোলিং আক্রমণে এসে টপাটপ ফেরালেন তিন ব্যাটারকে। লিটন খেলেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। তানজিদ হাসান তামিম ১, নাজমুল হোসেন শান্ত গোল্ডেন ডাক, সাকিব আল হাসান ১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরেছেন ৮ রানে।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিককে নিয়ে ৭২ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন লিটন। ষষ্ঠ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৩ রানের আরেকটি জুটি গড়েন মুশফিক। ৬৪ বলে ৫১ রান করে টপলির শিকার হয়েছেন তিনি। এরপর হৃদয় ফিরেছেন ৩৯ রানে। ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন টপলি।
এর আগে ডেভিড মালানের সেঞ্চুরি, জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
৪০ ওভার পর্যন্ত ৪০০ রানের হুমকি দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারালে সেটি আর সম্ভব হয়নি। এর আগেই ইংলিশরা স্কোর সুসংহত করেছিল। শেষ দিকে শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা দ্রুত কয়েক উইকেট নিলেও সেটি কেবল সান্ত্বনারই।
বিপিএলের কল্যাণে চেনা-জানা বোলারদের পেয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন মালান। আগের ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে ৩৯ বলেই তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ১০৭ বলে ১১৫ রান।
১৮ তম ওভারে বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। ৫৯ বলে ৫২ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অবিচল ছিল মালানের ব্যাট। ৯১ বলে ওয়ানডের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তোলার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন এই ওপেনার। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদির কুইকার লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোল্ড হলে থামে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংস। ১০৭ বলে ১৬ চার ও ৫ ছক্কায় করেছেন ১৪০ রান। এতে দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে মালানের ১১৭ বলে ১৫১ রানের জুটিও ভাঙে।
ঝোড়ো শুরুর আভাস দিলেও জস বাটলারের ইনিংস বড় হতে দেননি শরীফুল। ১০ বলে ২০ রান করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮২ রানে থামেন রুট। তাঁকে ফেরান শরীফুল। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী ৪টি ও শরীফুল নিয়েছেন ৩ উইকেট।