:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
একদিনের ব্যবধানের ফের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ফিলিপাইন। রোববার ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশটি।
ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (গ্রিনিচ মান অনুযায়ী সময় ১০৩৬) ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিন্দানাও দ্বীপের বিসলিগের উত্তর-পূর্বে।
তবে, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের (জিএফজেড) বলছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। তবে রোববারের এই ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা- ইউএসজিএসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফিলিপাইনের হিনাতুয়ান শহরের ২১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৩২ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে।
গত মাসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৭ নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো ও দাভাও প্রদেশে অন্তত ৮ জনের প্রাণহানি হয়। এ ছাড়া আহত হন আরও ১৩ জন। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে শনাক্ত করেছে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ও উৎপত্তিস্থলের ওপর ভিত্তি করে প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার বলছে, ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে এবং ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশে, পালাউ ও মালয়েশিয়ায় সুনামি আঘাত হানতে পারে।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি সিসমোলজির কর্মকর্তা তেরেসিতো বাকোলকোল বলেন, তাঁর সংস্থা দক্ষিণ সুরিয়াগো দেল সুর ও দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশগুলোর উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের অবিলম্বে উঁচু অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করে ১ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে সুনামির ঢেউয়ের উচ্চতা আরও বেশি হতে পারে।