:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২ (অংশ)-২১৪ এর শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ঈদ ও নববর্ষের ছুটির পর গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৮ এপ্রিল খোলা হয়। তবে দেশজুড়ে চলা মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহের রোববার থেকে সারা দেশে স্কুল–কলেজে ক্লাস শুরু হয়। শুরুর দিনেই প্রচণ্ড গরমে দেশের কয়েকটি স্থানে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।
একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকেরা। পরে নতুন সিদ্ধান্ত জানায় মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে বিদ্যালয়গুলো চলবে কয়েক দিন আগে ঘোষিত সময় অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। এ ছাড়া তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহের কারণে কয়েক দিন আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালার বিদ্যালয়গুলোর প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।