■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাবে সেনাবাহিনী। এসব ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন সেনাসদস্যরা।
গতকাল শনিবার রাত ১টার দিকে বছিলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ। এর আগে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নেমে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দু-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে; যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ ইস্ট বেঙ্গল এক অভিযান পরিচালনা করে। বছিলা সুপারশপে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় দুজনসহ মোট ৪৫ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে ২৭-২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মেজর নাজিম বলেন, এরমধ্যে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ রয়েছে। যাদের আটক করেছি, তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন গডফাদার বা লিডারকে আমরা ধরেছি। এদের সবাই চাঁদাবাজি, ডাকাতি করতেন। অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ তাদের দ্বারা ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে মেজর নাজিম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ১৯৭ জনকে আটক করেছি।
সেনাবাহিনীর এ অভিযানের সঙ্গে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা ছিলেন এবং গ্রেফতারদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪৫ জন আটক
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য অভিযান চালিয়ে ছয় ঘণ্টায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়।
রাতে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেড়িবাঁধ, রায়ের বাজার, মোহাম্মদী হাউসিং সোসাইটিসহ আশেপাশের এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪৫ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কিশোর। সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে নিরাপরাধদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিকেলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী থানার সামনে বিক্ষোভ করে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নেব। আমাদের অভিযান চলছে, অভিযান চলবে।