চলতি সপ্তাহে প্রকাশ হবে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। চলতি সপ্তাহে তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘একটা কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে বলা হয়েছিল; আমি বলেছিলাম এ সপ্তাহে এটা করব। এটা কোঅর্ডিনেট করা হচ্ছে। কর্মপরিকল্পনা আন্তঃঅনুভাগ আমাদের সম্পর্কিত এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে ড্রাফটটা করা হয়েছে। ড্রাফটটা এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অনুমোদন করাব। এটা চলতি সপ্তাহের ভেতরে আপনাদেরকে দিতে পারব।’

এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এনআইডি সংশোধনের আবেদন এখন প্রায় ৮০ হাজার। এনআইডি সংশোধনে আবেদনকারীর আপিল করার সুযোগ আছে। আমরা নিষ্পত্তির চেষ্টা করব। আমাদের যদি ডেটা এন্ট্রিটা বেটার হয়, তাহলে এটার সংখ্যা আরও কমে আসবে।’

ইসি সচিব বলেন, ‘মাসিক কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এখানে আজকে আমরা বলেছি যে, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না। তবে বাড়বে না এর অর্থ এই নয় যে, অতীতে যা ছিল সেটাই হুবহু থাকছে। এটা বাড়তেও পারে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনে ২২টি দলকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে ২২টি রাজনৈতিক দলের আবেদন মাঠপর্যায়ে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাদের কাজ চলছে। যাদের আবেদন বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য মনে হয়নি, তাদের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বাতিল হওয়ার পেছনে কোন শর্ত পূরণ হয়নি, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো উদ্বেগ নেই বলে কমিশন জানিয়েছে। সবার নিজস্ব কাজ গুছিয়ে নিলেই হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, মাঠ প্রশাসন নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনও ধরনের হুড়োহুড়ি বা সমস্যা না হয়।

এ সময় সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সীমানা নিয়ে আসা ৮২টি আপত্তির শুনানি আগামী ২৪ আগস্ট থেকে একটানা চারদিন অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি শেষে দ্রুত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না বরং বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোতেই ভোটারদের উপস্থিতি সমন্বয় করা হবে। বর্তমানে প্রতি ৫০০ ভোটারের জন্য একটি বুথ আছে, যা ভবিষ্যতে ৬০০ করা হতে পারে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *