:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জন। এছাড়া একজন নিখোঁজের তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৪ লাখের বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন, পুরুষ ৪১ জন, মহিলা ৬ জন ও ৭ জন শিশু। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১৪ জন, ফেনীতে ১৯, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও কক্সবাজার ৩ ও মৌলভীবাজার ১ জন মারা গেছেন। এছাড়া, মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বন্যায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার পানিবন্দি হয়েছেন। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট তিন হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ এবং ৩৮ হাজার ১৯২টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫৬টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ৭৭ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬৪টি উপজেলা ও ৪৮৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা। ১১ জেলায় মোট পানিবন্দি ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।