:: কুমিল্লা প্রতিনিধি ::
কুমিল্লায় জামতলা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ৬৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. আনোয়ার হোসেন বাকশীমুল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মৃত চারু মিয়ার ছেলে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসনাত খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাকশীমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল কাশেম জানান, জামতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মো. আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। শংকুচাইল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তিনি কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় গিয়ে ভারতীয় অংশে আনোয়ারের মরদেহ দেখতে পান।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি রোববার সকালে সীমান্ত এলাকায় যান আনোয়ার। সেখানে প্রথমে বিএসএফ আনোয়ারকে ডাক দেয়। আনোয়ার বিএসএফের ডাকে সাড়া না দিলে প্রথমে একটি গুলি করে। পরে অন্তত ১০ মিনিট পর আরও একটি গুলি চালানো হয়।’
ইউপি সদস্য কাশেম আরও বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর আমরা মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পেরেছি। বিকেলে ৫টায় বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোড়া এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে নিহত আনোয়ারের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ করার পর বুড়িচং থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেছেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আনোয়ার সীমান্তের কাঁটাতারের এ পাশেই ছিলেন। দূর থেকে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে ডাক দেন। বিএসএফের সদস্যরা প্রথমে আনোয়ারের পায়ে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আনোয়ার হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা এগিয়ে আসেন। তখন তিন–চারজন বিএসএফ সদস্য আনোয়ারকে টেনে কাঁটাতারের ওপারে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, ‘জামতলা এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ। খবর পেয়ে আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা মরদেহের পরিচয় শনাক্তসহ সুরতহাল তৈরি করছে। বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে। ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।