:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম -এর সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদ নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতি দেয় ফোরাম।
অব্যাহতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নাগরিক নিউজকে নিশ্চিত করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। মূলত সেই বৈঠকেই দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা নিষ্পত্তি করে বিএনপি।
বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি -পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বিগত ৬ ও ৭ মার্চ ছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সাতবারের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং দুবারের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর যখন এ নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনও মাথাব্যথা ছিল না, তখন ভোট গণনার সময় উপস্থিতি স্পষ্ট করে তার আগ্রহ।
নানা জটিলতা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল আসে ১০ মার্চ। মাহবুব উদ্দিন খোকন পান সভাপতির পদ।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত আসে নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব নিতে পারবেন না সভাপতি। তবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাস্তি হিসেবে তাকে ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।
গতকাল ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে আপনার বিরুদ্ধে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রদান করেছি, যা আপনার অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে আমি উপলব্ধি করেছি। সে কারণে আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। এ জন্য আপনার একজন সিনিয়র সহকর্মী হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি আপনি বিষয়টি নিয়ে আমার প্রতি আর কোনো বিরূপ ধারণা পোষণ করে থাকবেন না।