:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য বার্নি স্যান্ডার্স দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বার্নি স্যান্ডার্স এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
এক্সে শেয়ার করা টুইটে বার্নি স্যান্ডার্স লিখেন, ‘১৯৬২ সালে, শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে বর্ণবাদী নীতিমালার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিলাম। ৬৩ সালে আমরা পৃথক গাত্রবর্ণের লোকের জন্য পৃথক স্কুলের বিরোধিতা করে আন্দোলনের সময় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিক ছিলাম।’
গাজা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে মার্কিন এই সিনেটর লিখেন, ‘আমি গর্বিত যে, আজ শিক্ষার্থীরা গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করছে।’ এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য হাসিলের আহ্বান জানিয়ে লিখেন, ‘লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাও। তোমরা ইতিহাসের পাতার সঠিক পৃষ্ঠাতেই আছ।
এর আগেও বার্নি স্যান্ডার্স বলেছিলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধ অবসানের দাবিতে ৬০ বছর আগে তিনি নিজে ও ছাত্রসমাজ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল। আজ গাজাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য ভিয়েতনামের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে এই সিনেটর বলেন, ‘এটি বাইডেনের জন্য ভিয়েতনাম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’ তিনি বলেন, বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বজায় রাখার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে নিজেকে দুর্বল অবস্থানে রেখেছেন।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে বার্ ৮৩ বছর বয়সী বার্নি সার্ডার্স আরও লিখেছেন, ‘আমি গর্বিত বোধ করছি, শিক্ষার্থীরা আজ গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করছে।’
ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া বার্নি সার্ডার্স পারিবারিক পটভূমির কারণে অল্প বয়সেই রাজনীতিতে অগ্রহী হয়েছিলেন।১৯৪০ এর দশকে জার্মান-অধিকৃত পোল্যান্ডে তার অনেক আত্মীয়কে হলোকাস্টে হত্যা করা হয়েছিলো।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর বার্লিংটনের নগরপাল বা মেয়র নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনবার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের একজন সদস্য ছিলেন।
২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ওইসময় তিনি তরুণ ভোটার শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রায় ৪৩% ডেলিগেট বা প্রতিনিধির ভোট অর্জন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যান।