■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বৈমানিক ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান পাসপোর্ট ছাড়াই জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। এতে তিনি সৌদি ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ নিয়ে জেদ্দা পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটক করেন।
বুধবার সকালে বিমান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়। পরে সন্ধ্যার ফ্লাইটে তাঁর পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র বোসরা ইসলাম বলেন, ‘বিমানের একজন ক্যাপ্টেন ভুলে নিজের পাসপোর্টাটি বহন না করে তার মায়ের পাসপোর্টটি নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। পরে অবশ্য বিমানের জেদ্দা স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ওই পাইলটকে তাদের তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন।’
বিমান সূত্র জানায়, এর আগে দুই বছর আগে বিমানের এক পাইলট একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট চালিয়ে দোহায় গিয়ে আটক হন। তিনিও পাসপোর্ট ছাড়া ফ্লাইট পরিচালনা করেন। ওই সময় তাকে দোহা বিমানবন্দরের বাইরে যেতে না দেওয়ায় অন্য ফ্লাইটে তিনি দেশে ফিরেছিলেন।
এর আগেও বিমানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ফ্লাইট পরিচালনার সময় ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া দোহায় পৌঁছে সেখানে আটকা পড়েন। তাঁকে দোহা বিমানবন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি এবং পরে তিনি অন্য একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন এনাম মেয়াদোত্তীর্ণ আইডি কার্ড নিয়ে ঢাকা-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে আটক হন। পরে তাঁকে টিকিট কেটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।