■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য রুমিন ফারহানা, সাইফুল আলম নীরব ও হাসান মামুনসহ ৯ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান।
রুমিন ফারহানা, সাইফুল আলম ও হাসান মামুন-তিনজনই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। রুমিন ফারহানার এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সাইফুল আলম নীরবকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-১২ আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল বিএনপি। পরে আরেক জোট শরিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ওই আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাইফুল আলম।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। গলাচিপা-দশমিনা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী–৩ আসনটি যুগপৎ আন্দোলনের আরেক শরিক দল গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে দীর্ঘ দিন কার্যক্রম চালিয়ে আসা হাসান মামুনও সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
