৬৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  বাকি ৬৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি।

যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি

নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২, ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২, পটুয়াখালী-৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-১০, কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৫, কক্সবাজার-২, সিলেট-৪, সিলেট-৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও লক্ষ্মীপুর-৪।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।

প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থি কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে।

এসব দলের জন্য আসন আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।

এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না।

এসব কারণে ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক জানিয়েছেন।

তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষপর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি।

এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *