:: ফেনী প্রতিনিধি ::
ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলারসংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার ২৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা নাগরিক নিউজ বলেন, ‘সোমবার রাতে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আজ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে চোরাকারবারির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ।‘
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে আটকদের একটি তালিকা বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আমরাও আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করব।’
আটককৃতদের মধ্যে একজন ছাগলনাইয়ার পূর্ব ছাগলনাইয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. হাসেম (৩৫)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নাগরিক নিউজকে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার সময় জানতে পেরেছি আমার স্বামীকে বিএসএফ নিয়ে গেছে।
এ ছাড়া আটককৃত অন্যদের মধ্যে রয়েছে ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার মটুয়া গ্রামের খুরশীদ (৪০), রিপন (৩০), মহিউদ্দিন (২৫) এবং পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের ইমাম, শামীম ইমন, মো. হারুন, অধুন, গুরা মিয়া, জামাল উদ্দিন, জাফর আহাম্মদ, সাইমুন হোসেন, মো. মহসিন, এমরান হোসেন, রুবেল হোসেন এবং নুর করিমসহ মোট ২৩ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটককৃতদের একাধিক স্বজন বলেন, আমরা বিজিবিকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিজিবি বলেছে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে। আমরা ২৩ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোমবার রাতে ভারতের সমরগঞ্জ ও বাংলাদেশের ৯৯ পিলারের কাছে চিনির বস্তা বহনের কাজ করছিল শতাধিক শ্রমিক। এ সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। অনেকে পালিয়ে আসতে পারলেও ওই ২৩ জন শ্রমিক বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।