:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
শপথ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও ডা. বিধান রঞ্জন রায়।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ও পরে দুই উপদেষ্টা শপথ গ্রহন করেন। তিনজনকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুউদ্দিন।
গতকাল রাতে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
শপথের পর উপদেষ্টাদের দপ্তর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭ জন। এর মধ্যে তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় ওই দিন শপথ নিতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা আজ শপথ নিয়েছেন। ফারুক-ই-আজম এখনো শপথ নেননি। এর মধ্যে বিধান রঞ্জন রায় পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন।
তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ, সালেহউদ্দিন আহমেদ, এম সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, এএফ হাসান আরিফ, মো. তৌহিদ হোসেন এবং আ ফ ম খালিদ হাসান।
প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রাখা হয়েছিল ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব। এর মধ্যে এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুই উপদেষ্টার হাতে ছেড়ে দেওয়া হলো। বাকি ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাতে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খানকে শিল্প, হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মো. তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র, আ ফ ম খালিদ হোসেনকে ধর্ম, ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।