■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ভারতে পলাতক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাসহ ২৬১ আসামিকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আদালত।
জয় বাংলা ব্রিগেড সম্পর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করে জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টার ও আমার দেশ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিআইডি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৭ নম্বর আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম গত ৩০ অক্টোবর এ বিষয়ে আদেশ দেন।
সিআরপিসি ১৯৬ ধারার অধীনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে সিআইডি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়েরের ক্ষমতা পায়।
সেই অনুযায়ী সিআইডি বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলায় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১(ক) ও ১২৪(ক) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি’র তদন্তে উঠে আসে, জয় বাংলা ব্রিগেড নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে দেশ ও বিদেশে বসে বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছিল।
তদন্তে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ ও ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা হয়। দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষে সিআইডি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তাদের মধ্যে ২৬১ জন পলাতক থাকায় আদালত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলাটি এখন আদালতে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার’ এজেন্ডা বাস্তবায়নে সিআইডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মামলাটি হয় গত ২৭ মার্চ, বাদী হন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে তিনি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৪ আগস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন।
“বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।”
খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামও রয়েছেন মামলার আসামিদের মধ্যে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি ২৬১ জনকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এল।
