জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এবং দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোবায়েত ফেরদৌস এই আদেশ দেন।

বাদীরা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করায় আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলা পরিচালনার কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশও প্রত্যাহার করেন।

বুধবার জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২ আগস্ট মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন বাদীপক্ষ। ১২ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার বাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুলাই জিএম কাদের ও মাহমুদুল আলমের দলীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এই আদালত। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জনের প্রাথমিক পদসহ সাংগঠনিক পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যাদের পদ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁরা হলেন—জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এম. এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।

আদালত ওই দিনের আদেশে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।

মোকাদ্দমার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থিভাবে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জিএম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল ডেকে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ৭ জনকে, পরে আরও ৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইট থেকেও তাঁদের নাম মুছে ফেলা হয়।

যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জনের পক্ষে গত ১০ জুলাই এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, জিএম কাদেরের কার্যক্রমে ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে এবং মহাসচিব করা হয় রুহুল আমিন হাওলাদারকে। পাশাপাশি সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী ফিরোজ রশিদ এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

তবে জি এম কাদেরের অংশ নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *