■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারির মধ্যে বিতর্কিত নেসলে কিটক্যাট চকলেটের একটি লট বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) জারি করা খাদ্য আদালতের আদেশে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে এ অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়।
বাদী পক্ষের দাখিল করা দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নেসলে বাংলাদেশের কিটক্যাট চকলেটের একটি লট বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান অভিযোগ করেছেন যে, নেসলে কিটক্যাট চকলেট অনিবন্ধিত, অনুমোদনহীন, নিম্নমানের এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বর ৪৪৩৯৯১৩৯ ও উৎপাদন কোড ৬২৯৪০০৩৫৩৯০৫৪ উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও জানান, জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে, ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং খাদ্য ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আদালত নেসলে বাংলাদেশকে এই লট বাজার থেকে প্রত্যাহার ও ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, বিএসটিআই লাইসেন্স ও অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কিটক্যাট চকলেটের আমদানি, বিপণন ও বিক্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩- এর ২৬, ৩১, ৩৮ ও ৩৯ ধারায় নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিবাল আবে বিক্রমা ও একই প্রতিষ্ঠানের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ওইদিনই আদালত তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটিতে দিবাল ও রিয়াসাদকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসলে বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব ও লিগ্যাল, রেগুলেটরি অ্যান্ড সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, আমরা এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম এবং আমাদের উত্থাপিত প্রাথমিক যুক্তির ভিত্তিতে মামলাটি জামিনের জন্য গৃহীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতও জামিন বহাল রেখেছেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট।
দেবব্রত আরও বলেন, নির্দিষ্ট লটের পণ্যের ইনভয়েসিং–সংক্রান্ত কোনো বিশেষ শর্ত আছে কি না, সে বিষয়ে আদেশের প্রত্যয়িত কপি আমরা এখনও পাইনি। সেটি না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।
‘নেসলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রয়েছে এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিকার গ্রহণ করা হবে’, বলেন তিনি।
দেবব্রত আরও বলেন, সরকারিভাবে আমদানি করা পণ্যসহ আমাদের সব পণ্যের মান ও বিশুদ্ধতা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। এই পণ্যের বিষয়ে বিসিএসআইআর থেকে আমাদের পক্ষে যাওয়া পরীক্ষার প্রতিবেদন রয়েছে।
