■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
দেশের বেসরকারি খাতের ৯টি ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এর মধ্যে ৫টি ব্যাংক তারল্য সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গ্যারান্টি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই ব্যাংকগুলো অন্যান্য সবল ব্যাংক থেকে পারলে সহায়তা নিতে পারবে। যেখানে গ্যারান্টার থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া এক্সিম ও ইসলামী ব্যাংক আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে গ্যারান্টি চুক্তি হয়নি। এদিকে পদ্মা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোন আবেদন করেনি।
ব্যাংকগুলো কি পরিমাণ তারল্য সহায়তা নিতে পারবে তা ঠিক করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ, বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারের মাধ্যমে রুগ্ন ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনা করবে বলে ইঙ্গিত দিলে পুনর্গঠিত এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির জন্য আবেদন করে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা নিতে পারে।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নামে-বেনামে এ ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছে। সংকটে পড়া এসব ব্যাংকের অধিকাংশই এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন।
গ্রাহকদের মধ্যে ভীতি দেখা দিলে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা না করার সিদ্ধান্তে ব্যাংকগুলোতে সংকট আরও বাড়ে। সংকট উত্তরণে অন্য ব্যাংকের কাছে থেকে ধার নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়।