ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■ 

সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ প্রথমে নিম্নচাপ পরবর্তীতে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’-তে পরিণত হয়েছে। তবে এটি এখন শ্রীলঙ্কার উপকূলে অবস্থান করছে এবং বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৬.৮° উত্তর অক্ষাংশ ও ৮১.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়।

২৭ নভেম্বর দুপুর ১২টার অবস্থান অনুযায়ী ‘ডিটওয়াহ’ ছিল— চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২,০৪০ কিমি দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১,৯৮০ কিমি দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১,৯৪০ কিমি দক্ষিণ–পশ্চিমে, পায়রা থেকে ১,৯৩৫ কিমি দক্ষিণ–পশ্চিমে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *