ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

আন্দামান সাগর ও মালাক্কা প্রণালীতে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগর ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ারে’ রূপ নেবে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।

ইতোমধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপ, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরিসহ বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। 

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে একটি নতুন নিম্নচাপের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সম্ভাব্য লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম অভিমুখে চালিত হয়ে আরও ঘনীভূত হওয়ার দিকে এগোবে। একইসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং শ্রীলংকার উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলেও আরেকটি লঘুচাপের জন্ম হতে পারে। 

আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে তার নাম হবে ‘সেনিয়ার’। যার অর্থ সিংহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেওয়া নাম এটি।

শনিবার (২২ নভেম্বর) যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা আরও ঘনীভূত হয়ে মালাক্কা প্রণালী ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরের উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সোমবার (২৪ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো জানা যায়নি। আপাতত আন্দামানে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মালাক্কা প্রণালির কেন্দ্রীয় অংশে উচ্চস্তরের বায়ুচক্রবাতের প্রভাবে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে মালাক্কা প্রণালি ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।

আইএমডির তথ্যমতে, সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সেনিয়ারের সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এবং এটি আন্দামান-নিকোবর অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, তামিলনাড়ু, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি।

কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝড়গ্ৰাম, হাওড়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং ডুয়ার্সে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে একটি নতুন নিম্নচাপের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সম্ভাব্য লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম অভিমুখে চালিত হয়ে আরও ঘনীভূত হওয়ার দিকে এগোবে। একইসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং শ্রীলংকার উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলেও আরেকটি লঘুচাপের জন্ম হতে পারে। 

পাঁচ দিনের আবহাওয়ার চিত্রে বলা হয়েছে, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের দৈনন্দিন পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে যে, সারা দেশে আংশিক মেঘলা পরিস্থিতি এবং শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। দিনের বেলায় ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, অথবা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টার পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টার জন্য জানানো হয়েছে যে, দেশে আবহাওয়ার শুষ্ক ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাপমাত্রায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন নাও আসতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তর সর্বশেষ তথ্যে নিশ্চিত করেছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের সামগ্রিক আবহাওয়ার ধরনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটার আশঙ্কা নেই। 

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *