■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড্যারন আসেমোগলু, সিমন জনসন ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো, ইলিনয়ের অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন।
সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
নোবেল কমিটির দেওয়া তথ্যানুসারে, বিভিন্ন দেশের সমৃদ্ধিতে কেন এত পার্থক্য দেখা যায়, তা নিয়ে নতুন ধারণা দিয়েছেন ড্যারন আসেমোগলু, সিমন জনসন এবং জেমস এ রবিনসন (Daron Acemoglu, Simon Johnson and James Robinson)। কীভাবে প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় এবং সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে- এ নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। শ্রমবাজারে নারী অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।এ পুরস্কারের প্রকৃত নাম সেভারিগস রিক্সব্যাংক প্রাইজ। তবে আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে পুরস্কারটি দেওয়া হয় বলে এটি ‘অর্থনীতির নোবেল’ নামে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।
শুরু থেকেই সুইডিশ রয়েল একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। সেই হিসেবে এবার ৬৬তম নোবেল পুরস্কার পেলেন তারা। পুরস্কারের ১০ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ১১ লাখ ডলার ভাগ করে নেবেন তিনজন।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় নোবেল অর্থনীতি বিভাগের পুরস্কার প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব স্ভেনসন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গঠন এবং উন্নয়নে তার প্রভাব’ মূলত যে কোনো দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি গবেষণা। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব সম্পর্কে ড্যারন আসেমোগলু, সিমন জনসন এবং জেমস এ রবিনসনন তাদের যে অন্তঃদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন তা গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক উন্নয়নের এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।
জ্যাকব স্ভেনসন বলেন, “আর্থিক উপার্জনের দিক থেকে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে বিশাল পার্থক্য, সেটি দূর করা এই মুহূর্তে আমাদের কঠিনতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে— পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের গবেষণায় সেটিই আমাদের দেখিয়েছেন।”
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো দেশ এগিয়ে থাকে এবং কোনো দেশ কেন পিছিয়ে থাকে, সে বিষয়ে নতুন অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছেন এবারের নোবেল বিজয়ী তিন অর্থনীতিবিদ। এই ব্যবধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ব্যবধান। ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই তিন অর্থনীতিবিদ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমৃদ্ধির সম্পর্ক দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করেছেন, যার বদৌলতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার মধ্যকার ব্যবধান ও কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বদলে দেওয়া যায়, তার ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
নোবেল পুরস্কারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয়রা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন করলে এসব দেশের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো বদলে যায়। কখনো কখনো এসব পরিবর্তন নাটকীয়ভাবে হয়েছে। সবখানে যে এই পরিবর্তন একইভাবে হয়েছে, তা নয়। কোনো অঞ্চলে উপনিবেশবাদীদের লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণকে শোষণ করে নিজেদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা। আরেক দিকে দেখা যায়, উপনিবেশবাদীরা অনেক দেশে ইউরোপীয় অভিবাসীদের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।
এই যে উপনিবেশবাদীরা উপনিবেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলল, তার মধ্য দিয়ে এসব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতিপথ নির্ধারিত হয়েছে। এবারের নোবেল জয়ী তিনজন অর্থনীতিবিদ এই বিষয়টিতে আলো ফেলেছেন। দেখা গেছে, উপনিবেশ স্থাপনের সময় যেসব দেশ গরিব ছিল, সেখানে মূলত অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় এসব দেশের মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি এসেছে-সাধারণভাবে বিষয়টি এভাবেই ঘটেছে। সাবেক উপনিবেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ একসময় ধনী ছিল সেগুলো যে এখন দরিদ্র হয়ে গেছে এবং যেসব দেশ দরিদ্র ছিল, সেগুলো যে এখন ধনী হয়েছে, এই পার্থক্যের পেছনে উপনিবেশবাদীদের এই নীতি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব দেশে শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেই দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তেমন একটা হয়নি এবং তারা সেই ফাঁদে আটকা পড়েছে। বিষয়টি হলো, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে সেই সমাজের সবাই দীর্ঘমেয়াদি সুফল পায়; কিন্তু শোষণমূলক ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে হাতে গোনা অল্প কিছু মানুষ স্বল্প মেয়াদে লাভবান হয়। রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি এমন হয় যে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষের হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাহলে কেউই তাদের প্রতিশ্রুত ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সংস্কারে আস্থা পাবে না। নোবেল জয়ী তিন অর্থনীতিবিদ দেখিয়েছেন, সে কারণেই এসব দেশের উন্নতি হয় না।
২০২৪ সালের নোবেল বিজয়ী তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে দুজন-ড্যারন আসেমোগলু ও জেমস রবিনসন হোয়াই নেশান্স ফেইল: দ্য অরিজিন্স অব পাওয়ার, প্রসপারিটি অ্যান্ড পভার্টি শীর্ষক বিশ্বখ্যাত গ্রন্থের লেখক। অ্যাসেমোগলুর মতে, সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হলো, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সক্ষমতা বা এর অভাব। এই বইকে তিনটি শব্দে সার সংক্ষেপ করা যায়, যেমন প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান। তাঁর মতে, যখন কোনো রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নাগরিক সংশ্লিষ্টতা থাকে, তখন কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ধারায় পা দিতে পারে। একমাত্র মেধাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোই রাজনীতিবিদ বা আমলাদের হাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠন ঠেকাতে পারে।
বইয়ের লেখকদ্বয় মেধাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে জোর দেন। বলেন, একমাত্র মেধাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোই রাজনীতিবিদ বা আমলাদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠন ঠেকাতে পারে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে হলেও অর্থনীতিতে এক ধরনের সমতা তৈরি হয় কিংবা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়। তাঁরা দেখিয়েছেন, আফ্রিকার অনেক দেশে এখন আর সাদাদের রাজত্ব না থাকলেও অল্প কিছু ক্ষমতাশীল ব্যক্তি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে সম্পদ লুটে নিচ্ছে, যাঁরা কেউই সাদা নন। এই বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতায় তাঁদের এই গুরুত্বারোপ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল পায় জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। এটি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাপানি সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। প্রগাঢ় কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক ক্ষত তুলে ধরার জন্য তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং কানাডার বিজ্ঞানী জিওফ্রে ই হিন্টন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মেশিন লার্নিং বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এ অর্জন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) চিকিৎসাশাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পান ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রোআরএনএর কার্যক্রম আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পান তারা।
প্রতি অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা ও অর্থনীতি- এই ছয় বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের পুরস্কার প্রদান করে সুইডেনভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন। পুরস্কার প্রদানের পর তা উদযাপনে উৎসবের আয়োজন করে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির সদর দফতর নরওয়েতে।
উনবিংশ শতাব্দিতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক; যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে। মৃত্যুর আগে তিনি ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। আলফ্রেড নোবেলের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৬৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল।
ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৮ সাল থেকে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেলের অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে অবদানের কথা স্মরণ করে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।
১৯০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১১৪টি নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ২২৭ জন বিজয়ীর মধ্যে ১৩ জন ছিলেন নারী।
শুরুতে নোবেল বিজয়ীদের প্রায় দেড় লাখ ক্রোনা দেওয়া হতো। বাড়তে বাড়তে ১৯৮১ সালে তা ১০ লাখ ক্রোনা হয়। এরপর পুরস্কারের আর্থিক মূল্য দ্রুত বাড়ানো হয়। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো এর পরিমাণ ১ কোটি ক্রোনা হয়।
সর্বশেষ এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ানো হয় নোবেল পুরস্কারের আর্থিক সম্মানী। এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার) পাবেন, যা আগের চেয়ে ১০ লাখ ক্রোনা বেশি। নোবেল ফাউন্ডেশনের তহবিলের উন্নতি হওয়ায় এ বছর পুরস্কারের আর্থিক সম্মানী বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের তহবিলে টান পড়ায় ২০১২ সালে পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি ক্রোনা থেকে কমিয়ে ৯০ লাখ করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে তা বাড়িয়ে ৯০ লাখ এবং ২০২০ সালে ফের এক কোটিতে উন্নীত করা হয়।
গত এক দশকে ইউরোর বিপরীতে প্রায় ৩০ শতাংশ দর হারিয়েছে সুইডিশ ক্রোনা। ফলে পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ লাখ ক্রোনা বাড়ানো হলেও সুইডেনের বাইরে তা ততটা বাড়বে না।
২০১৩ সালে আর্থিক সম্মানী কমিয়ে ৮০ লাখ ক্রোনা করা হয়। তখনো যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় এই পুরস্কারের পরিমাণ দাঁড়াত ১২ লাখ ডলার। সেটা বেড়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা হলেও বিনিময় হারের খেলায় ২০২৪ সালে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ডলারের কম। মুদ্রাস্ফিতি বিবেচনায় নিলে নোবেল পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান খুব একটা বাড়েনি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার মূল্যমান দাঁড়ায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি।