:: সাভার প্রতিনিধি ::
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ভ্যানের ওপর কয়েকটি মরদেহের স্তূপ ঢেকে রাখা হয়েছে জীর্ণ চাদর দিয়ে। সেখানে আরও মরদেহ উঠাচ্ছে পুলিশের হেলমেট ও ভেস্ট পরিহিত দুই পুলিশ সদস্য। চাদরের পাশ দিয়ে নিহতদের ঝুঁলে থাকা সারি সারি হাত দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার্তা সংস্থার এএফপির ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির।
তিনি জানান, ঘটনাটি গত ৫ আগস্টের। ঢাকা উত্তরের আশুলিয়া থানার নিকটবর্তী বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের গলি দিয়ে ভেতরে ঢোকার পর থানার ভবনের আগের জায়গায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর দেহের স্তূপবোঝাই ভ্যানটির পাশে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এদের মধ্যে দুজনের মুখ দেখা গেছে। একজন পুলিশের ভেস্ট পরা, আরেকজন ছিলেন সাদা পোশাকে। পুলিশের ভেস্ট পরা ব্যক্তি হলেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাত হোসেন। আর সাদা পোশাকের ব্যক্তির পরিচয় মেলেনি। বাকিরাও ডিবি পুলিশের সদস্য হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে দেয়াল দেখা যায়, যেখানে সাঁটানো ছিল একটি পোস্টার। সেটি আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেন ভুঁইয়ার বলে শনাক্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভ্যানে ৬ জনের মরদেহ ছিলো। এদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন সজল, তানজিল হোসেন, বায়েজিদ ও সবরু হুমায়ূন নামে ৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনরা। অজ্ঞাত ২ জনের মরদেহ রাখা হয় মর্গে। অভিযোগ আছে ভ্যানের মরদেহ গুলো পুলিশের গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে আড়ালে চলে যায় ভিডিওতে থাকা পুলিশ সদস্যরা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্থানীয়দের।
শনিবার (৩১ আগস্ট) আশুলিয়া থানা এলাকায় গিয়ে ভিডিওতে থাকা সেই দেয়াল ও পোস্টার খুঁজে পাওয়া গেছে। এতেই ভিডিওটির ঘটনাস্থল নিশ্চিত হয়েছে। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে যে সংযোগ সড়ক আশুলিয়া থানাকে সংযুক্ত করেছে এটি মূলত সেই সড়ক। মহাসড়ক থেকে থানার দিকে যাওয়ার সময় পোস্টারসম্বলিত সেই দেয়ালটি হাতের ডানেই পরে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি আশুলিয়া থানা ভবনের সামনের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট সকাল থেকে আশুলিয়া থানা এলাকায় অবস্থান করছিল ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের একটি টিম। ওইদিন সকাল থেকেই আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল মোড় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সেদিনই বাইপাইল এলাকায় প্রায় সারাদিন মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যায়।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ‘আরাফাতের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আরাফাত ভেঙে পড়েছেন। আমরা সেদিন ছাত্র-জনতার দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়িনি।’
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈন বলেন, ‘ভিডিওটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আমাদের টিম কাজ করছে এটি নিয়ে৷ পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম সায়েদ, ওসি ইনটেলিজেন্স মিজানুর রহমান মিজান, ওসি অপারেশন নির্মল কুমার দাস, ওসি তদন্ত মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের ৯০ থেকে ১৩০ জন সদস্য অস্ত্রসহ থানা থেকে বের হয়ে আসেন। বাইপাইলে পুলিশের নির্বিচারের গুলির খবর পেয়ে সাভার সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম বাইপাইলের দিকে রওয়া হয়। পল্লী বিদ্যুৎ পার হলে তারাও পুলিশের গুলির মুখে পড়েন। এতে দুই সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর একাধিক টিম এসে পুলিশের সকল সদস্যকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ সদস্যদের আটক করে নেন। তখন সবার হাতের আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এরপর শত শত মানুষ পুলিশকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের কাছে জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর কারণ জানতে চান। জনগণই বিচার করবে বলে পুলিশ সদস্যদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর সেনাবাহিনী তাদের নিরস্ত্র করে আটক করে নিয়ে যান। সেদিন রাত ১০টার দিকে নবীনগর সেনানিবাসের গেটে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। পরে সেনাসদস্যরা জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অস্ত্র হাতে সাধারণ মানুষের উপর গুলি ছোড়েন ওসি তদন্ত মাসুদুর রহমান, এসআই মো. রকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এসআই মো. আরাফাত উদ্দিন, এসআই অমিতাভ চৌধুরী, এসআই সোহেল মোল্লা, এসআই অপূর্ব সাহা, এসআই শরীফ আহম্মেদ, এসআই মো. বদিউজ্জামান, এসআই নোমান সিদ্দিক, এসআই মো. আউয়াল হোসেন, এসআই জোহার আলী, এসআই বিপুল হোসেন, এসআই মো. নুর আলম, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই মো. সজীব হোসেন, এসআই মো. মোতালেব, এসআই মো. মোস্তফা কামাল, এসআই সিকদার হারুন অর রশিদ, এসআই শিব শংকর, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল জলিল, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই কামরুল হাসান, এএসআই নুরুল ইসলাম, এএসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই ফিরোজ মিয়া সরকার, এএসআই মো. আলাউদ্দিন, এএসআই ইমারত হোসেন, এএসআই এনায়েত হোসেন, এএসআই সিরাজুল ইসলাম, এএসআই মিজানুর রহমান, এএসআই আমির হামজা, এএসআই বিশ্বজিৎ, এএসআই আনুয়ারুল মানার, এএসআই মো. নূর নবী, এএসআই মাসুদ রানা, এএসআই সাহাবুদ্দিন, নায়েক মাহাবুব হোসেনসহ আরও ১০১ জন কনস্টেবল।
গত ৫ই আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পরপর বাইপাইল এলাকায় বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে বিকালে উত্তেজিত জনতা আশুলিয়া থানা ঘেরাও করে। এতে পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। থানার আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে থানা ভবনে ঢুকে পড়েন। ঢুকেই তারা থানার গেট বন্ধ করে দেন। তখন বিকাল সাড়ে ৪টা। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে থানা ঘিরে ফেলেন। তারা থানা ভবনে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। কেউ কেউ গেট ভাঙতে এগিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম সায়েদ পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র রেডি করতে বলেন। গুলি লোড করতে বলেন। এই কথা শুনে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় থানা ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সশস্ত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য থানার গেটে অবস্থান নেন। তখন বিকাল ৪টা বেজে ৪০ মিনিট। প্রথমে ওসি সায়েদ গেইটে এসে উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। ছাত্র-জনতা পুলিশকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তখন ওসি এ এফ এম সায়েদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা হেরেছি। আপনারা জিতেছেন। আমাদের মাফ করে দেন। সবাই বাড়ি ফিরে যান। একপর্যায়ে এস আই মালেক, ঢাকা উত্তর ডিবির ওসি তদন্ত আরাফাত হোসেন, এসআই মো. রকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এসআই জলিল ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিতে থানার গলিতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশের মুহুর্মুহু গুলিতে লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান।
থানার সামনের ভবন থেকে পুরো ঘটনা দেখা রনি আহমেদ নামের এক ব্যক্তিবলেন, বিকালে থানা ফটকের সামনে উত্তেজিত জনতার ওপর পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ১০ থেকে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। কয়েক মিনিট ধরে ওখানে গোলাগুলি চলে। পরে জীবিত কয়েকজনকে ছাত্ররা নিচু হয়ে এসে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। তারপরেও ৬ থেকে ৭ জন ওখানে পড়েছিল। তখন আশপাশের সব অলিগলি জনগণ ঘিরে ফেলে। রাস্তা থেকেও লোকজন থানার দিকে রওনা হয়। পরে থানা থেকে সব পুলিশ সশস্ত্র হয়ে একযোগে বেরিয়ে আসে। তারা গুলি করতে করতে বেরিয়ে আসে।
পলিমারস অফিসার ফ্যামিলি কোয়ার্টার গেটের অপর পাশে সাদিয়া রাজশাহী কনফেকশনারি অ্যান্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ফাহিমা আক্তার বলেন, ঘটনাটি আমার দোকানের সামনেই ঘটেছে। ৫ই আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টা হবে। সেদিন গুলি খেয়ে থানার গলিতে পড়ে থাকা মরদেহগুলো ভ্যানে তুলছিলেন পুলিশ সদস্যরা। আমাদের চোখের সামনেই তুলেছে। প্রথমে লাশগুলো তুলে ব্যানার দিয়ে ঢেকে থানার সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সেই ঘটনা এখনো চোখের সামনে ভাসে।
গত ৬ আগস্ট থানার সামনে একটি পিকআপে পুড়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি লাশের মধ্যে নিজের ছেলে আস-সাবুরের লাশ চিহ্নিত করেন মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌস। তিনি বলেন, ৬ আগস্ট সকালে আশুলিয়া থানার সামনে একটি পিকআপে পুড়ে যাওয়া কয়েকজনের মৃতদেহের খোঁজ মেলে। আমার ছেলের পুড়ে যাওয়া মরদেহটি ওই পিকআপেই পেয়েছি। আমার ছেলের পকেটে থাকা মোবাইলের সিম কার্ডের সূত্র ধরে তার মরদেহ শনাক্ত করি। এখন মনে হচ্ছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর লাশগুলো ওই পিকআপে ভরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশ গুম করার জন্য তারা পিকআপে ভরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
সেদিন পুড়ে যাওয়া লাশের পাশে আইডি কার্ড দেখে সাজ্জাদ হোসেন সজলের লাশও শনাক্ত করেন মা শাহিনা বেগম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়। পরদিন সকালে থানার সামনে পুড়ে যাওয়া লাশের সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড দেখে সাজ্জাদের পুড়ে কয়লা হওয়া মৃতদেহ শনাক্ত করি। সেখানে ছয়টি পোড়া লাশ ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের গণহত্যার নিষ্ঠুর ও নৃশংস এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদসহ আওয়ামী লীগের ১১৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে সবার আগে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মামলাটি দায়ের করার অভিযোগ এনে নিহত আস-সাবুরের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী বাদি হয়ে সন্তান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুনরায় মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আরও যাচাই-বাছাই করবেন। আমার বিশ্বাস শুধু আরাফাত নয় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মধ্যদিয়ে সকল দোষীর নামই উঠে আসবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই আমরা ছাড় দিবো না। বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই দিনের ঘটনায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ওই দিন তিন পুলিশ সদস্যও নিহত হন। এর মধ্যে দুইজনকে হত্যার পর নবীনগর–চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলের একটি ওভারব্রিজের ওপর উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এক পুলিশ সদস্যের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া থানা সংলগ্ন এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যানে কয়েকটি পোড়া মরদেহ পাওয়া যায়।