■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
গত বছরের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ২১ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২৬ জন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে অন্তত ১১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু ৫ আগস্ট নিহত হন ৫৬ জন। এ ছাড়া ১৯ জুলাই ১৯ জন এবং ২০ জুলাই ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
এর বাইরে গণঅভ্যুত্থানের নিহত অনেককে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ১১৪টি মরদেহ। এসব মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।
তাদের বেশির ভাগ মারা গেছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও রামপুরা এলাকায়। এ সংখ্যা অন্তত ৩২০। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক মারা গেছেন। পাঁচশজনের মৃত্যুর স্থান বিশ্লেষণ করে অন্তত ৩০ জন ঢামেকে মারা যাওয়ার তথ্য মিলেছে। মোট মৃত্যুর স্থান বিশ্লেষণ করলে এই সংখ্যা বাড়বে।
নির্বিচার গুলিতে তখন যাত্রাবাড়ীতে নিহত হন ১১৭ জন, উত্তরায় ৭০ জন, মিরপুরে ৬২ জন, মোহাম্মদপুরে ৪৩ জন ও রামপুরায় ৩২ জন। এর বাইরে বাড্ডা, ভাটারা, নিউমার্কেট, বংশালসহ রাজধানীর ২২টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০২ জনের।
গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় নিহত হন ৭০ জন। এর মধ্যে ১৯ জুলাই ১৬ জন এবং ৫ আগস্ট ৩২ জন নিহত হন। উত্তরায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
এর মধ্যে ১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে কপালে গুলি লেগে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ শহীদ হন। ওই দিন অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে পানি বিতরণ করছিলেন মুগ্ধ। পানির কেস হাতে নিয়ে ‘পানি লাগবে, পানি, পানি…’ বলছিলেন মুগ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়ে) হয়।
বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, নিহতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী, এ সংখ্যা অন্তত ২৮৪। শিক্ষার্থী মারা গেছেন কমপক্ষে ২৬৯ জন। হত্যার শিকার হয়েছেন চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানে আহত ১৩ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে স্থায়ীভাবে অক্ষম ১ হাজার ৪৬৬ জন। অতি গুরুতর আহত ১৩৪ জন, গুরুতর আহত ৮০০ জন।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে অন্তত ১৩৫ শিশু শহীদ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তথ্য এবং অন্যান্য সূত্রের বরাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বলছে, ৭৮ শতাংশ মানুষ নিহত হয়েছেন গুলিতে।
১৩০টি মৃত্যুর ফরেনসিক প্রতিবেদন নির্দেশ করছে, তা মোট মৃত্যুর তিন-চতুর্থাংশ। এমন আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে, যা সাধারণত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ শিশু।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অগ্নিগর্ভ ছিল রাজপথ। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল আন্দোলনের ঢেউ। এতে জীবন দিয়েছেন ছাত্র, শ্রমিক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পঙ্গু ও আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এখন পর্যন্ত প্রাণ হারানো ৮৪৪ জনের নাম-ঠিকানা জুলাই ফাউন্ডেশন সংরক্ষণ করতে পেরেছে। আর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী, শহীদের সংখ্যা ৮৩৬। তবে এর আগে এ সংখ্যা ৮৪৪ জনই ছিল। গত রোববার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে আটজনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদন বলছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন চলাকালে অন্তত ১৩ নারীসহ এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
সরকারি গেজেটে তালিকাভুক্ত শহীদ ও জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া নিহতদের তালিকা বিশ্লেষণে উঠে আসে, এ অভ্যুত্থানে ১০ জেলার বাসিন্দা সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছেন। স্থায়ী ঠিকানার হিসাবে নিহতের তালিকায় ৬০ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বয়সভেদে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা ২৫২। এ ছাড়া ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ১৬১। এ ছাড়া ২৬ থেকে ৩৫ এবং ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ১৯৪ জন করে। বয়স জানা যায়নি ৩৫ শহীদের।
প্রাণ হারানোদের মধ্যে ১০ জেলার বাসিন্দা ৩৭০ জন। সরকারি হিসাবে মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ এ দশটি জেলার। সবচেয়ে নিহত হয়েছেন ঢাকার ৮২ জন। এর পরই আছে ভোলার ৪৬ জন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ৪১, কুমিল্লার ৪০, চাঁদপুরের ৩১, বরিশালের ৩০, নোয়াখালী ও যশোরের ২৭ জন করে এবং পটুয়াখালীর ২৪ ও নারায়ণগঞ্জের ২২ জন।
তাদের বেশির ভাগ মারা গেছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও রামপুরা এলাকায়। এ সংখ্যা অন্তত ৩২০। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক মারা গেছেন। পাঁচশজনের মৃত্যুর স্থান বিশ্লেষণ করে অন্তত ৩০ জন ঢামেকে মারা যাওয়ার তথ্য মিলেছে। মোট মৃত্যুর স্থান বিশ্লেষণ করলে এই সংখ্যা বাড়বে।
বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, নিহতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী, এ সংখ্যা অন্তত ২৮৪। শিক্ষার্থী মারা গেছেন কমপক্ষে ২৬৯ জন। হত্যার শিকার হয়েছেন চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
জেলাভিত্তিক নিহতের সংখ্যা
নিহতদের স্থায়ী ঠিকানার তথ্য বিশ্লেষণ, ঢাকা বিভাগের ২৩৮ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৮২, ফরিদপুরের ৭, গাজীপুরের ১৬, গোপালগঞ্জের ৭, কিশোরগঞ্জের ১৮, মাদারীপুরের ১৭, টাঙ্গাইলের ৯, মানিকগঞ্জের ৫, নারায়ণগঞ্জের ২২, মুন্সীগঞ্জের ১৪, রাজবাড়ীর ৩, শরীয়তপুরের ১৩ ও নরসিংদীর ১৯ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫৫ বাসিন্দা প্রাণ দিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৯, চাঁদপুরের ৩১, কুমিল্লার ৪০, কক্সবাজারের ৪, ফেনীর ৯, খাগড়াছড়ির ১, লক্ষ্মীপুরের ১৬ ও নোয়াখালীর ২৭ জন। রাঙামাটি ও বান্দরবানে কোনো বাসিন্দা নিহত হওয়ার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরের ২৭ বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটের ৮, চুয়াডাঙ্গার ২, ঝিনাইদহের ৩, খুলনার ৫, কুষ্টিয়ার ১৫ ও মাগুরার ১০, নড়াইলের ২ ও সাতক্ষীরার চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের তালিকায় মেহেরপুর কোনো স্থায়ী বাসিন্দাকে পাওয়া যায়নি।
বরিশাল বিভাগের ১৫৪ জনের মধ্যে ভোলার ৪৬ জন প্রাণ দিয়েছেন। এ ছাড়া বরিশালের ৩০, বরগুনার ১০, পটুয়াখালীর ২৪, ঝালকাঠির ১০ ও পিরোজপুরের ৫ জন রয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের নিহত ৮৯ জনের মধ্যে জামালপুরের ১৭, ময়মনসিংহের ৪১, নেত্রকোনার ১৭ ও শেরপুরের ১৪ জন।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার ১৫, জয়পুরহাটের ৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২, নওগাঁর ৯, পাবনা ৬, রাজশাহীর ৪, সিরাজগঞ্জের ১৩ ও নাটোরের ৮ জন নিহত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামের ৯ জন করে, লালমনিরহাটের ১০, নীলফামারীর ৪, পঞ্চগড়ের ৫, রংপুরের ২০, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ ও গাইবান্ধার ৬ জন নিহত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগে হবিগঞ্জের ১৫, সুনামগঞ্জ ৩ ও সিলেটের ১৩ জন নিহত হয়েছেন। মৌলভীবাজারের নিহত কাউকে পাওয়া যায়নি।
জুলাই ফাউন্ডেশনের তালিকায় ঢাকা বিভাগে অন্তত ৬০ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৮০ জনের মৃত্যুর দিনক্ষণ উল্লেখ নেই।
গেজেট ধরে বিশ্লেষণ
গেজেট অনুযায়ী, শহীদ তালিকায় ঢাকার ৮৩, ফরিদপুরের ৪, গাজীপুরের ১৩, গোপালগঞ্জের ১১, কিশোরগঞ্জের ১৮, মাদারীপুরের ১৭, টাঙ্গাইলের ১০, মানিকগঞ্জের ৫, নারায়ণগঞ্জের ২২, মুন্সীগঞ্জের ১৬, রাজবাড়ীর ৩, শরীয়তপুরের ১৫ ও নরসিংদীর ২১ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রামের ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৭, চাঁদপুরের ৩১, কুমিল্লার ৩৮, কক্সবাজারের ৪, ফেনীর ৯, খাগড়াছড়ির ১, লক্ষ্মীপুরের ১৪ ও নোয়াখালীর ১৮ জন। খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের ৯, চুয়াডাঙ্গার ২, ঝিনাইদহের ৩, খুলনার ৭, কুষ্টিয়ার ১২, মাগুরার ৯, নড়াইলের ২ ও সাতক্ষীরার ৪ জন। বরিশাল বিভাগে ভোলার ৪৬, বরিশালের ৩০, বরগুনার ১০, পটুয়াখালীর ২৩, ঝালকাঠির ১০ ও পিরোজপুরের ৫ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুরের ১৬, ময়মনিসিংহের ৪২, নেত্রকোনার ১৬ ও শেরপুরের ১৪ জন।
রাজশাহী বিভাগে বগুড়ার ১৬ জন, জয়পুরহাটের ৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২, নওগাঁর ৭, পাবনার ৫, রাজশাহীর ৫, সিরাজগঞ্জের ১২, নাটোরের ৮ জন।
রংপুর বিভাগে দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ৯ জন করে, নীলফামারীর ৪, পঞ্চগড়ের ৫, রংপুরের ১৯, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ ও গাইবান্ধার ৬ জন। সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জের ২, সিলেটের ১২ ও হবিগঞ্জের ১৫ জন।
বিশ্লেষণ বলছে, ঢাকা বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ৪৯ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৫৮ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪৮ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ৭০ জন। বয়স জানা যায়নি ১২ জনের।
বরিশাল বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ২৪ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৩১ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৮ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ৩২ জন। বয়স জানা যায়নি দুজনের।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ৩০ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৬১ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২৭ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ২৯ জন। বয়স জানা যায়নি ৮ জনের।
খুলনা বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ২৩ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ২৩ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১৬ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ১২ জন। বয়স জানা যায়নি দুজনের।
ময়মনসিংহ বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ১২ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৩০ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২১ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ১৯ জন। বয়স জানা যায়নি সাতজনের।
রাজশাহী বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ১৫ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৩ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১৭ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব তিনজন।
রংপুর বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ১০ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ২২ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২১ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ১৪ জন।
সিলেট বিভাগে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শহীদের সংখ্যা ৫ জন, ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৪ জন, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৬ জন এবং ৩৫-ঊর্ধ্ব ৫ জন। বয়স জানা যায়নি একজনের।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা রোববার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাদ পড়া আটজন হলেন– টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধন (গেজেট নম্বর ৮৩৬)।