■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন। তাকে এখন কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার অনার্স শেষ হলে পরে অফিসার পদে নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়াকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র দেখে পদ নির্ধারণ করা হবে।
গত ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দুপুর ২টা নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শুধু দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকবে।
এসময় তিনি ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা বলেন এবং নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া, তার পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
পরবর্তীতে নিহত আবুল কালাম আজাদ -এর পরিবারকে দশ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে সড়ক পরিবার ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ডাকযোগে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এনামুল হক নবীন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এনামুল হক নবীন।
তিনি জানান, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কালামের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা এবং পরিবারের একজন সদস্যকে মেট্রোরেলে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে আইনি নোটিশে বলা হয়েছে।
