রাজধানীতে ড্রাম থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে নীল রঙের ড্রামের ভেতরে ২৬ টুকরা মানবদেহের পরিচয় মিলেছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে খণ্ড–বিখণ্ড লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

হাত–পা–মাথাসহ ২৬ টুকরা মরদেহ কালো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। মৃত ব্যক্তির গলা থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই খণ্ডিত, মুখে ছিল দাড়ি।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধারের ঘণ্টা দু-এক পর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর এ তথ্য জানান।

মৃত ব্যক্তির নাম আশরাফুল হক (৪২)। তিনি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে। গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপাড়ায়। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ ও মায়ের নাম মোছা. এছরা খাতুন।

পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে আশরাফুল ঢাকায় আসেন। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা হয়। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এবং আলু আমদানি করতেন তিনি। পণ্য আমদানির জন্য তার সরকারি লাইসেন্স রয়েছে। কেন, কী কারণে কারা এই হত্যায় জড়িত- তা বের করার চেষ্টা চলছে। 

পুলিশ জানায়, হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় পরিত্যাক্ত নীল রঙের দুটি ড্রাম দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খুলে দেখা যায়, একটিতে চাল অন্যটিতে মানুষের দেহের খণ্ডিত অংশ।

পুলিশ বলছে, দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি ভ্যানে দুজন এসে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যায়। সন্ধ্যার দিকে যখন দুর্গন্ধ ছড়ায় তখন লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। ড্রাম খুলে চালের মধ্যে কালো পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়।

আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাইকোর্টের কাছে ঈদগাহ মাঠ পানির পাম্পের পাশে প্রধান সড়কে ড্রাম থেকে খণ্ডিত মানবদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, দু-এক দিন আগে হত্যার পর মরদেহটি ড্রামে ভরা হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *