দেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে মৃত্যু হয় দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে নির্বাসিত এই কবির। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

কবির ভাতিজি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে মারা গেছেন তার চাচা।

চিরকুমার দাউদ হায়দার আগে থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

বার্লিনে কবির অত্যন্ত স্নেহভাজন, সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পী মাইন চৌধুরী পিটু বলেন, কবি দাউদ হায়দার গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতাজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। সে কারণে বেশ কয়েক মাস জার্মানির বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

মাইন চৌধুরী বলেন, কবির মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে। তবে তার শেষ বিদায় কোথায় এবং কখন হবে তা দেশে থাকা কবির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং বার্লিনে তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরের ১২ তারিখ বার্লিনের যে ফ্ল্যাটটিতে তিনি বসবাস করতেন, সেখানকার সিঁড়িতে মাথা ঘুরে পড়ে অজ্ঞান হয়েছিলেন তিনি। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তাকে ‘কৃত্রিম কোমায়’ রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হলে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ১১ মার্চ তাকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২০মে মুক্তি দেওয়া হলেও কবিকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তৎকালীন শেখ মুজিব সরকার। পরদিন ১২ মার্চ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে একপ্রকার খালি হাতে কলকাতায় পাঠানো হয়। ২২ বছর বয়সী তরুণ এই কবি বুকে প্রচণ্ড অভিমান আর প্রবল রক্তক্ষরণ নিয়ে ছেড়েছিলেন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রিয় জনপদ।

১৯৭৬ সালে দাউদ হায়দার তার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিলে তা আটক করা হয়। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে তিনি আটক পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তার পাসপোর্ট ফেরতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এরশাদ সরকারও। পাসপোর্ট ছাড়া অন্য আরেকটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসে সমস্যা দেখা দেয়। ভারত সরকার দায়িত্ব নিতে চায় না নির্বাসিত কবির। তিনি অন্য কোনো দেশেও যেতে পারেন না পাসপোর্টের অভাবে। এমন এক দুঃখকালে তার পাশে এসে দাঁড়ান কবিবন্ধু নোবেল বিজয়ী জার্মান কবি গুন্টার গ্রাস। তিনি জার্মান সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত কবিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ’৮৫-এর কোনো এক ভোরে জার্মানির বার্লিনে গিয়ে পৌঁছান দাউদ হায়দার। জাতিসংঘের বিশেষ ‘ট্রাভেল ডকুমেন্টস’ নিয়ে এখন ঘুরছেন দেশান্তরে। কোনো পাসপোর্ট নেই তার। জার্মানি যাওয়ার পর থেকে তিনি সেখানের ‘ডয়েচে ভেলে’ রেডিও চ্যানেলের প্রভাবশালী সাংবাদিক। ১৯৮৭ সালে সেখান থেকে জার্মানিতে চলে যান দাউদ হায়দার। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি। সেই সময় তাকে জার্মানির নোবেলজয়ী লেখক, কবি ও সাহিত্যক প্রয়াত গুন্টার গ্রাস ও দেশটির তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স- ডিটরিখশ গেনশের জার্মানিতে নিয়ে আসেন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনায় দাউদ হায়দারের জন্ম। তিনি একাধারে কবি, লেখক এবং সাংবাদিক।

কবিতা লেখার অপরাধে দীর্ঘ পাঁচ দশক তাকে আটকে রাখা হয়েছে স্মৃতির কারাগারে।

দাউদ হায়দার দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতার সম্পাদক ছিলেন সত্তর দশকের শুরুর দিকে। ১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি দাউদ হায়দারের কোন এক কবিতাকে “দ্যা বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া” সম্মানে ভুষিত করেছিল। সংবাদের সাহিত্যপাতায় ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন । ধারণা করা হয়ে থাকে, তিনি ঐ কবিতাতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ), যিশুখ্রীষ্ট এবং গৌতম বুদ্ধকে অপমান করেছিলেন । তাঁর সংগস অব ডেস্পায়ার বইতে এই কবিতাটি সংকলিত আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশে এর বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিবাদ শুরু করে এবং ঢাকার কোন এক কলেজের শিক্ষক ঢাকার একটি আদালতে এই ঘটনায় দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।

দাউদ হায়দারের ভাইদের মধ্যে মারা গেছেন নাট্যকার জিয়া হায়দার, কথাশিল্পী রশীদ হায়দার ও কবি মাকিদ হায়দার। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার। তারা প্রত্যেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত।

‘অতন্দ্রিলা, তুই আমার কাছে থাক’ শিরোনামে কবিতায় দাউদ হায়দার লিখেছেন , ‘ অতন্দ্রিলা; তুই এলি কেন, বরং চলে যা / দুঃখের নদীতে দ্যাখ গিয়ে পড়ে আছে আমার দুঃখপূর্ণ ভেলা / আমাকে আজ ঘুমোতে দে তুই / স্বচ্ছ আকাশে যন্ত্রণার ঝাপসা মায়া বাঁধলো কেনো ঘর / তুই জিজ্ঞেস কর বাতাস সাক্ষী হবে বকে রাধ কঠিন সাহস / তোর শরীরে আজ দেখি নিসর্গের আদি শোভা / আশ্চর্য হাওয়ায় তুই চুলগুলি উড়িয়ে এলি এতক্ষণ / হঠাৎ আনন্দ তোর বেজে ওঠে গুপ্ত সরোবরে / করোটি বিহীন শীতল অন্ধকার আসছে ওই / আলোটা জ্বালা…’। আলোটা যেন জ্বলেনি। দাউদ হায়দার আজ ঘুমিয়ে গেলেন , চিরতরে ঘুমিয়ে গেলেন। তাঁর জীবনের দুঃখপূর্ণ জীবন ভেলা ভেসেছে প্রবাসের পথে পথে।

‘অন্তর্গত উজ্জ্বল বিষাদ’ শিরোনামের কবিতায় তিনি লিখেছেন , ‘ যায় যায় সবই যায় নদীর কোঁকড়ানো ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে যায় / হালকা হাওয়া নাচতে নাচতে যায় রমণীর নকশি আঁচল উড়তে উড়তে যায় / পুরুষের দল হাঁটতে হাঁটতে যায় বহমান জনতার হাটে যায়; / যায় যায় সবই যায় খড়কুটো কবিতার শরীর ভেসে যায় / … আমি এক আর সব যায়; যায় ভালোবাসার সরল হাত ধরে চলে যায় / নিপুণ সিম্ফনি বাজাতে বাজাতে যায় / উজ্জ্বল আলোর মেলায় যায় অন্তর্গত কান্নার ধ্বনি রেখে যায় / যায় যায় সবই যায়!’ হা , দাউদ হায়দারের সবই গেছে আড়ালে-আবডালে নয় ; আমাদের চোখের সামনে। তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় , তাকে নিক্ষেপ করা হয় ঠিকানাবিহীন প্রান্তরে শেষ পর্যন্ত যা ঘুচেছিল কবি-বন্ধু গুন্টার গ্রাসের মানবিকতায়। অস্থায়ী একটা ঠিকানা হয়েছিল বটে কিন্তু দাউদ হায়দারের দুঃখ কি ঘুচেছিল? ঘুচেছিল কি আমাদের দুঃখ? এসব কোনো প্রশ্নের উত্তরই নিশ্চয় অন্তহীন নয়।

তিনি তাঁর ‘আন্দোলন; বারবার ফিরে আসে বাংলাদেশে যুদ্ধের বেশে’ কবিতায় প্রশ্ন রেখেছেন , ‘বাংলাদেশ কি আসলেই শোকের দুঃখের না যুদ্ধের? / তাহলে আমার মা কোথায় / কোথায় বর্ষীয়ান পিতা / আমার মেয়ে / গর্ভিণী স্ত্রী / ভিটে ঘর-বাড়ি / বলতে পারেন বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ?…’ দাউদ হায়দারের এই প্রশ্ন আজও জারি আছে এই রক্তস্নাত বাংলাদেশে। তিনি আরও কঠিন সত্য লিখেছেন তাঁর ‘আমরা যেন খাঁচায় পোষা পাখী’ শিরোনামের কবিতায়। তিনি লিখেছেন ,’ আমরা যেন খাঁচায় পোষা পাখী / যা বলো তাই শুনি তোমার কথা / দ্বিরুক্তি নেই, হাতে বাধছো রাখী / বুকের মাঝে শুধু অনল ব্যথা / আকাশে আজ ঘন মেঘের খেলা / বাতাসে ওই হাহাকারের সুর …।

কবির স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুইটি কবিতা প্রকাশ করা হল

জন্মই আমার আজন্ম পাপ

“জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি

সন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত হঠাৎ ফুৎকারে উড়ে যাই

পালাই পালাই সুদূরে

চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক

বাসের দোতলায় ফুটপাতে রুটির দোকানে দ্রুতগামী

নতুন মডেলের

চকচকে বনেটে রাত্রির জমকালো আলো

ভাংগাচোরা চেহারার হদিস

ক্লান্ত নিঃশব্দে আমি হেঁটে যাই

পিছনে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা যুবক। অষ্টাদশ বর্ষীয়ার নিপুণ ভঙ্গী

দম্পতির অলৌকিক হাসি প্রগাঢ় চুম্বন

আমি দেখে যাই, হেঁটে যাই, কোথাও সামান্য বাতাসে উড়ে যাওয়া চাল-

অর্থাৎ আমার নিবাস।

ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেয় চাঁদের আলো এসে খেলা করে

আমি তখন সঙ্গমে ব্যর্থ, স্ত্রীর দুঃখ অভিমান কান্না

সন্তান সন্তুতি পঙ্গু

পেটে জ্বালা, পাজরায় তেল মালিশের বাসন উধাও-

আমি কোথা যাই? পান্তায় নুনের অভাব।

নিঃসংগতাও দেখেছি আমি, উৎকন্ঠার দিনমান জ্বলজ্বলে বাল্বের মতোন

আমার চোখের মতো স্বজনের চোখ-

যেন আমুন্ড গ্রাস করবে এই আমাকেই

আমিই সমস্ত আহার নষ্ট করেছি নিমেষে।

শত্রুর দেখা নেই, অথচ আমারি শত্রু আমি-

জ্বলন্ত যৌবনে ছুটি ফ্যামিলি প্ল্যানিং কোথায়

কোথায় ডাক্তার কম্পাউন্ডার

যারা আমাকে অপারেশন করবে?

পুরুষত্ব বিলিয়ে ভাবি, কুড়ি টাকায় একসের চাল ও অন্যান্য

সামান্য দ্রব্যাদী মিলবে তো?

আমার চৌদিকে উৎসুক নয়ন আহ্লাদী হাসি

ঘৃণা আমি পাপী

এরা কেন জন্ম নেয়?

এরাই তো আমাদের সুখের বাধা অভিশাপ।

মরণ এসে নিয়ে যাক, নিয়ে যাক

লোকালয়ের কিসের ঠাঁই এই শত্রুর?

-বলে

প্রাসাদ প্রেমিকেরা

আমিও ভাবি তাই, ভাবি নতুন মডেলের চাকায় পিষ্ট হবো

আমার জন্যই তোমাদের এত দুঃখ

আহা দুঃখ

দুঃখরে!

আমিই পাপী, বুঝি তাই এ জন্মই আমার আজন্ম পাপ।

একটি নিষিদ্ধ কবিতা

গোল চাঁদের শেষ ঘণ্টাধ্বনি বেজে গেলে আমি পুনরায় বাড়ি থেকে
বেরুলাম

সকালের নিপুণ করতালিতে সুন্দর বনরাজি শিউরে উঠলো তুমুল
প্রেম-প্রেম খেলায় অন্ধকার নিবাসগুলো মেতেছিল বহুক্ষণ;-ভেঙে গেল
হঠাৎ

না আমাকে দেখে নয়; তাহলে কার অভিসম্পাতে? সঠিক জানিনা–
কিংবা এও হতে পারে আমারি বদৌলতে!

গোল চাঁদের শেষ ঘন্টাধ্বনি বেজে গেলে আমি দেখলুম; হৈহৈ করতে করতে
একদল রমণীও পুরুষ মিলিত রক্তের স্রোতের মধ্যে থেকে উঠে এল পরস্পর
বাতাস ছিলোনা তখন; সবেমাত্র আঁধার গিয়েছে ছিঁড়ে কিশোরীর
পাজামার গিঁটের মতোন

তারপর খুলে গেল সেই একল। কপাট!

যে রমণী ও পুরুষগুলো দেখলুম; আমাকে দেখেই তারা বলে উঠল—
‘তাহলে তুমিই সেই। প্রত্যহ ভোরে এসে দেখে যাও আমাদের লীলা-খেলা!
কেন সাথী হতে পারো না?
দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা; তোমার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করবো এই প্রাতে
ফেরেশতা সেজে এই ভুবনে?

শালা শুয়োরের বাচ্চা; কোথায় যাও হে?
আমরাই পাপীরে হারামজাদা?
তাহলে তুমি কি হে?

যখন শালা তুমি হেঁটে যাও ওই বিভিন্ন লোকালয় ধরে: আমরা বলি–
“দ্যখি ওই যে যায়; যায়, যায় মহেন্দুনিদ্রিতকান্তি; শুভ্রবসন
মাথায় পাগড়ি; অলৌকিক পোশাক-আশাক; আননে কি রাপের মায়া
দেখলেই শ্রদ্ধা হয়

আর এখন তুমি ঈশ্বর নামক বদমাসের একান্ত অনুচর হয়ে আমাদের কাছে?
দেখাচ্ছি দাঁড়াও; একদিনে কয় বৎসর পাওনি তো টের—
হাজার জলপানি খেয়ে আমরাও হয়েছি মানুষ; ইকড়ি-মিকড়ি খেলায়
আমরাই এতদিন ছিলেম বলে লোকে দুর্নাম দিতো—
তুমি কি শৈশবে একবারও এক্কাদোক্কায় হেরে গিয়ে টাননি বাসন্তীর
সূক্ষ্ম অন্তর্বাস?
ওই সবদিনে ঘুমের ভান করে রাত্রিকালে কি করেছিস ঠিক কোরে বল্‌;
নইলে—
নইলে এক্ষুণি প্রস্রাবে ভরে দেব তোর মুখ; জুয়োচ্চোর ফেরেশতা সেজে
এই ভুবনে?—বলে

লোকগুলো নিয়ে গেল বিশ বছরের রমণীদের কাছে
দেখলাম; সেই রমণীবৃন্দ সমস্ত পোশাক খুলে; উন্নত বক্ষে দাঁড়িয়ে
হা হা করে হাসছে
আমি তখন মৃতপ্রায় মানুষের মতো আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করলুম
“আল্লাহ; আমার প্রার্থনা কবলে করো; আমি যেন রোজ ভোর বেলা
এইভাবে আসি
আর এইভাবেই তোমার অপূর্ব হস্তের কারুকাজ দেখে যাই—
হে আমার দয়াময়
তোমার এমন শিল্পকর্ম এতো আমি দেখিনি আগে?”

২৮/৯/৭২

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *