ঢাবির নতুন উপাচার্যের কাছে প্রত্যাশা

:: মো: ইমরান হোসেন ভূইয়া ::

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আমার শিক্ষাগুরু। সৌভাগ্যক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তাকে আমি পেয়েছি শিক্ষাগুরু হিসেবে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত জীবনের শুরুতে তাকে পেয়েছি বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে। শিক্ষার্থী হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সেশন ২০০৭-০৮ হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে সেসময় আমাদের ভর্তি ও ক্লাস শুরু হয় ২০০৯ সালের শুরুর দিকে। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (উন্নয়ন অধ্যয়ন) বিভাগে প্রথম সেমিস্টারেই ‘ডিএস ১০১: উন্নয়ন অধ্যয়ন পরিচিতি’ কোর্সটি যৌথভাবে আমাদের পড়িয়েছেন দুই প্রথিতযশা অধ্যাপক। একজন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং আরেকজন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই এমন দুইজন অধ্যাপকের হাতে আমাদের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়েছিলো, যারা দুজন তখনো তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বেশ বিখ্যাত, তবে তখনো তারা জাতীয় পর্যায়ে সর্বস্তরে এতটা পরিচিত হয়ে ওঠেননি। তবে, মজার বিষয় হলো, আমাদের প্রথম সেমিস্টার শেষ হতেই অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে, আর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান দায়িত্ব নিলেন পরিবেশ খাতে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত প্রতিষ্ঠান International Union of Conservation of Nature (IUCN) এর বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাতীয়ভাবে শিক্ষা খাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদ হবার কারনে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান দেশজুড়ে আলোচনায় আসলেও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন গুরুদায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা তার মোটেও প্রথম নয়। একজন শিক্ষক ও উন্নয়ন গবেষক হিসেবে অধ্যাপক খান যেমন একটি বড় নাম, তেমনি উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে নেতৃত্ব দেবার ঈর্ষণীয় অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পেশাগত জীবনের শুরুর দিকে কাজ করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) তে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জ্ন করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে। তারপর, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে, এবং ২০০৬ সালে সরাসরি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার ৩৬ পৃষ্ঠার যে বর্ণাঢ্য সিভি সেখানে চোখ বুলালেই আপনি তার শিক্ষা, ক্যারিয়ার, ও গবেষণার ইতিহাস এক ঝলকে দেখে নিতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এত অর্জনের কোনটিই তিনি কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে অর্জন করেননি। উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেসকল প্রতিষ্ঠানে তার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ হয়েছে, সেখানে কোথাও রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় দেখা হয় না, দেখা হয় মেধা ও যোগ্যতা। তো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে মেধার স্বাক্ষর রেখে যাওয়া এই ব্যক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ পাবার পর তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মানুষের এত আলোচনা ও কৌতুহল যে তৈরী হলো, তার একটি বড় কারন হচ্ছে নিকট অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়া! বিগত কয়েক দশকে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, সেখানে অনেক সময়েই শিক্ষকের গবেষণা ও নেতৃত্বগুন অপেক্ষা তার দলীয় আনুগত্যের দিকটি বেশি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ভবিষ্যতেও রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত দলগুলো দলীয় আদর্শের বাইরে গিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিবেন কিনা তা সময় বলে দিবে, তবে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় রাষ্ট্র ও নানান প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দল ও মতের উর্ধ্বে ওঠে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হলেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল।

এসএসসি ও এইচএসসি-তে তখনকার সময়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে প্রথম স্থান করা অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান তার দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন-ও শেষ করেছিলেন সর্বোচ্চ ফলাফল নিয়েই। তার সাথে পরবর্তীতে যোগ হয়েছে তার গবেষণা ও নেতৃত্ব প্রদানের অভিজ্ঞতা। তাই, আজ যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদ অলংকৃত করছেন, তখন যারা তাকে শিক্ষার্থী, সহকর্মী বা শুভানুধ্যায়ী হিসেবে চেনেন, তারা কেউই অবাক হননি। বরং সংকীর্ণ রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে যদি উপাচার্য পদের জন্য স্কলার ও গবেষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প কয়েকজন অধ্যাপকের তালিকা করা হতো, আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি সেখানে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এর নাম উপরের দিকেই থাকতো। বিশের অধিক বই ও শতাধিক জার্নাল আর্টিকেলের লেখক হিসেবে তার Google Scholar প্রোফাইল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান, কলা, ও বানিজ্য অনুষদের অধ্যাপকদের মধ্যে সবচেয়ে ওপরের দিকেই আছে লম্বা সময় ধরে। একজন স্বনামধন্য স্কলার ও গবেষক পরিচয়ের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কাজ এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দানের যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তার আছে, সেটি তাকে শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে যেকোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাবার ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে। এমনকি, তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেবার আগে সর্বশেষ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (IUB) এর উপ-উপাচার্য ও সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাজ করছিলেন।

তবে, এতো এতো পরিচয়ের ভীড়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান নিজেকে ‘শিক্ষক’ হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি। ‘মানুষ যত জ্ঞানী হবে, তত বিনয়ী হবে’ কথাটির স্বার্থক প্রতিচ্ছবি আপনি তার মাঝে দেখতে পাবেন। যারা বিভিন্ন সময়ে তার ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছেন, কোথাও তার লেকচার শুনেছেন, তার সাথে কাজ করেছেন, বা তার সাথে যেকোন ভাবেই সাক্ষাৎ করেছেন, তারা তার বিনয় ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষ্য দিতে পারবেন। জ্ঞান বিস্তারে প্রচন্ড উদ্যমের কারনে তাকে অন্যান্য সব কাজের পাশাপাশি তিনি উন্নয়ন অধ্যয়ন, লোক প্রশাসন, পাবলিক পলিসি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ও সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস, সেমিনার, ও ওয়ার্কশপ পরিচালনা করে যেতে দেখেছি। এমনকি, মাত্র কয়েক বছর আগের কথা, বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তার কাজের ব্যস্ততার মাঝেই তাকে দেখেছি একদিন রাতের বাসে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন কোন এক সরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি প্রশিক্ষন পরিচালনা করতে, এবং সেখান থেকে পরেরদিন কাজ শেষ করে আবার রাতের বাসে ঢাকা ফিরবেন। তার মতো একজন সিনিয়র অধ্যাপককে যাতায়াতের জন্য বিমান টিকিট দেয়ার কথা কিনা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, “আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হলে তো দেয়, তবে এটা তো সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাবা। ওদের যতটুকু সামর্থ্য ততটুকুই তো দিবে, আর খুব বেশি না দিলেও যে সম্মান তারা করে তার দায়বদ্ধতা থেকেই মাঝে মাঝে যাই একটু কষ্ট হলেও”! এরকম দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমি, আনসার একাডেমি, বন বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, এবং আর্মি পরিচালিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে এতটা নিয়মিত ছিলেন যে সিভিল সার্ভিস ও অন্যান্য অনেক পেশার মানুষের কাছেও শুনেছি যে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতাতেই তাদেরও অনেকের প্রিয় শিক্ষক হয়ে গেছেন!

যাইহোক, মজার বিষয় হলো, অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এত অর্জনের কোনটিই তিনি কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে অর্জন করেননি। উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেসকল প্রতিষ্ঠানে তার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ হয়েছে, সেখানে কোথাও রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় দেখা হয় না, দেখা হয় মেধা ও যোগ্যতা। তো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে মেধার স্বাক্ষর রেখে যাওয়া এই ব্যক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ পাবার পর তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মানুষের এত আলোচনা ও কৌতুহল যে তৈরী হলো, তার একটি বড় কারন হচ্ছে নিকট অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়া! বিগত কয়েক দশকে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, সেখানে অনেক সময়েই শিক্ষকের গবেষণা ও নেতৃত্বগুন অপেক্ষা তার দলীয় আনুগত্যের দিকটি বেশি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ভবিষ্যতেও রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত দলগুলো দলীয় আদর্শের বাইরে গিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিবেন কিনা তা সময় বলে দিবে, তবে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় রাষ্ট্র ও নানান প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দল ও মতের উর্ধ্বে ওঠে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হলেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। সেক্ষেত্রে, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের বাইরেও সমাজের সর্বস্তরে মানুষকে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস বা পরিচয়ের মাধ্যমে নয়, বরং তার মেধা ও কাজের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করার চর্চা বাড়াতে হবে।

দেশের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান যে সময়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিলেন, তা বেশ চ্যালেঞ্জিং বলা চলে। নিজেকে ‘অরাজনৈতিক’ মানুষ দাবি করা এই মানুষটি কখনো সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকার পরও, তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে যে পরিমান বিশ্লেষণ হচ্ছে, তা-ই প্রমাণ করে যে আমাদের সমাজের ও প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনীতিকিকরন কতদূর পৌছেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বলয়ে ও বিশ্বাসে বিভক্ত এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দিতে গেলে যেমন মাননীয় উপাচার্য-কে সকল মত ও পথের অংশীজনদের নিয়ে কাজ করতে হবে, তেমনি সকল অংশীজনদেরও দল ও মতের উর্ধ্বে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। অপ্রয়োজনীয় আলোচনা ও বিতর্ক পাশ কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেবার কাজে প্রকৃত অবদান রাখতে হবে গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে। তবে, বহু প্রতিকূলতার মাঝেও, চিরতরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর হাজারো তরুণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ইতিবাচক মানসিকতার দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আশাবাদী হতে চাই।

মো: ইমরান হোসেন ভূইয়া: সহকারী অধ্যাপক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; এবং পিএইচডি গবেষক, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *