■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
শনিবার সকালে মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান আখতারুজ্জামান। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে সংগঠনে যোগ দেন। আখতারুজ্জামান নিজেই গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জামায়াত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আখতারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংগঠনের অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ইসলাম ও ইসলামি মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নিয়মনীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন। জামায়াতের আমির তাঁকে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেন এবং তাঁর দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।’
যোগদান অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আখতারুজ্জামান পঞ্চমবারের মতো বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে নানা সময় সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে টক শো কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলে তিনি আলোচনায় ছিলেন। এমন অবস্থার মধ্যেই তিনি জামায়াতে যোগ দিলেন।
সম্প্রতি নিজ এলাকার রাজনীতির মাঠে আলোচনায় ফিরেছেন আখতারুজ্জামান। বিএনপি থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি ও দলে ফিরতে চাওয়ার আগ্রহ তাঁকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। তিনি কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-২ থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জালাল উদ্দিনের পক্ষে কাজ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
আখতারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন আসনটি কেবল কটিয়াদী উপজেলা নিয়েই ছিল। এখন এই আসনে যুক্ত করা হয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলাকেও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান পুলিশের সাবেক আইজি নৌকার নূর মোহাম্মদের কাছে। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
