■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ফেনীতে পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছনুয়ার দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ভোলা জেলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২), একই থানার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ। নিহত অন্য তিনজনের এখনো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নির্মাণশ্রমিকদের বহন করা একটি পিকআপ ফেনীর উদ্দেশে আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা মহিপাল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাইমুন ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস রয়েছে। ঘটনার পর ঢাকামুখী যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। মরদেহগুলো হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেখান থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। মহাসড়ক এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানায়, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানটি উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পিকআপ ভ্যানটিতে প্রায় ২০ জন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা যায়।