■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা ছাড়াও মমতাজের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মমতাজ বেগম। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলেও তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে মমতাজ নিজ এলাকায় তেমন আসতেন না। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও তেমন সরব ছিলেন না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মমতাজ বেগম।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর মমতাজ বেগম, দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। সিঙ্গাইরে ২০১৩ সালে বিএনপির হরতালের মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলাটি হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে ১০ আক্টোবর মমতাজ বেগম ও ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্য দিয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পান মমতাজ বেগম। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।