সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম আটক

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে রাজধানীর বংশাল থেকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হাজি সেলিমকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই রাতে থাকবেন। সোমবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন হাজি সেলিম। পরে ধানমণ্ডির একটি হাসপাতালে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি।

হাজী সেলিম অসুস্থ থাকায় জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন তার ছেলে সোলায়মান সেলিম। তার আরেক ছেলে ইরফান সেলিম স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ২০২০ সালের অক্টোবরে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি ইরফান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এই দুই ভাইও পলাতক রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর পুরান ঢাকার বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলায় তারাও আসামি বলে জানা গোছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাজি সেলিমের প্রভাব তাঁর সংসদীয় এলাকায় ব্যাপক ছিল।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্টের এক রায়ে তার সাজা বাতিল করা হয়।

ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর তাকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে নির্দেশে হাজি সেলিম ২০২২ সালের ২২ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন। এরপর আদালত হাজি সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *