যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান গ্রেফতার

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবুল হাসান এপিবিএন টেকনাফে কর্মরত ছিলেন।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গুলিতে নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির অনুমতিক্রমে তাকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানাতেই মামলা রয়েছে। সেই মামলায় টেকনাফ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশের নির্দেশনায় টেকনাফ এপিবিএনে কর্মরত আবুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক রদবদল হয়। যাত্রাবাড়ী থানার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এপিবিএন টেকনাফে বদলি করা হয়েছিল যাত্রাবাড়ীর সাবেক ওসি আবুল হাসানকে।

গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা মোসা. পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলার আসামিদের তালিকায় পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদও রয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যান। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিল। তখন ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়।

প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার নামিয়ে দেয়। কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। এসময় পুলিশ তাদের টেনে বের করে বাঁচতে চাইলে জাকির তাদের দৌড় দিতে বলেন। এসময় দৌড় দিলে জাকির গুলি করেন। গুলিতে তাইমের মৃত্যু হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *