■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বাবুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, বাবুল আক্তার অন্য মামলায় আগে থেকেই জামিনে আছেন। আজ স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে আর বাধা নেই। বাবুল আক্তার তিন বছর ৭ মাস ধরে কারাগারে আছেন, এই বিবেচনায় আদালত তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাবুল আক্তারকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। ১৮ আগস্ট জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক। পরে তিনি জামিনের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
এতে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা কয়েছে।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী ও সাবেক এসসি বাবুল আক্তারকে।
অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক, হানিফুল হক, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক রয়েছেন।