২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত হবে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

উপসচিব তানিয়া আফরোজের সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়,  সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওই তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরিপত্রে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শহীদ হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হলো।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হবার দিন বিদ্রোহী বিডিআর সৈন্যরা পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তর দখল করে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিককে হত্যা করে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি করা হয়। বর্তমানে বিজিবি নামে সংস্থাটি পরিচিত।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ঘটনার পুনরায় তদন্তের দাবি উঠেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের প্রধান করা হয়েছে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমানকে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। মইন ইউ আহমেদ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় সেনাপ্রধান ছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *