■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
সরকারি চাকরির আবেদনে পুরুষের বয়স হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর, আর নারীদের ৩৭ বছর। অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন সুপারিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন ও কর্মসংস্থানের সুযোগের বিষয়টি আমলে নিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছরই সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি প্রায় এক যুগ ধরে করে আসছে চাকরি প্রত্যাশীরা। এই ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে রাজপথে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিলে পুলিশের টিয়ারশেলে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়। এরআগে সকাল ১১টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে দুই হাজারের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী অবস্থান নেয়। পরে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যায়।
সেদিন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যসচিব করা হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে। সাত দিনের মধ্যে এ–সংক্রান্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব কাওসার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম।
কোটা সংস্কার ও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দীর্ঘদিনের আন্দোলনে পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত সপ্তাহে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটাধারীদের আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।