হামজার অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র

■ ক্রীড়া প্রতিবেদক ■

হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ড্র করে বাংলাদেশ এ নিয়ে ভারতের মাটি থেকে সর্বশেষ টানা তিন ম্যাচে ড্র নিয়ে ফিরল।

দুই দলের মধ্যকার ফিরতি লেগ মাঠে গড়াবে আগামী ১৮ নভেম্বর। এর আগেই অবশ্য ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হোম ম্যাচে মাঠে নামবে হাভিয়ের কাবরেরার দল।

মঙ্গলবার বাংলাদেশে-ভারতের ম্যাচ উপভোগ করতে মাঠে আসেন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক। ম্যাচের আগে প্লেয়ার লিস্টে হামজার নাম বলার পর পুরো স্টেডিয়াম করতালি দিয়ে হামজাকে স্বাগত জানায়। ম্যাচ শুরুর পর দৃশ্যপট যায় বদলে। হামজা বলে স্পর্শ করে খেলা শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। ১১ মিনিটে বাংলাদেশ পায় কর্নার। সেটি নিতে এগিয়ে আসেন হামজা। সেসময় তাকে দুয়ো দেন ভারতের সমর্থকেরা।

বাংলাদেশের অদিনায়ক জামালকে ছাড়া একাদশ সাজান কাবরেরা। শেষ দিকে একাধিক পরিবর্তন করলেও মাঠে নামা হয়নি জামালের। তবে রক্ষণের ভার ভালোভাবেই সামলেছে তারিক কাজী, সাদ উদ্দিনরা। কিন্তু রক্ষণ সামলানো গেলেও গোলক্ষরা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি কাবরেরার শিষ্যরা। ম্যাচে বিশেষ করে প্রথমার্ধে প্রতাপ খাটিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে জামাল, মোরছালিনদের।

ম্যাচ শুরুর বাশি বাজার পর শাহরিয়ার ইমনের পা ঘুরে বলে দ্বিতীয় স্পর্শটি হামজার। লং বল উড়িয়ে মারেন জনির কাছে। অপ্রস্তুত থাকা জনির শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে বসেন ভারতের গোররক্ষক ভিশাল। দ্বিতীয় চেষ্টায় দুরুহ কোন থেকে জালের বাইরে কাঁপিয়েছেন কিংসের এই মিডফিল্ডার। সহজ সুযোগ মিস বাংলাদেশের। নবম মিনিটে রাকিবের পাস থেকে গোলে হেড নেন ইমন। কিন্তু সেটি যায় গোলবারের বা্ম পাস ঘেষে।

১১ মিনিটে কর্ণার কিক নেন হামজা। ম্যাচেরই এটি প্রথম কর্ণার। হামজার কর্নার গ্লাভসে নেওয়ার পর ভিশালের কল্যাণে সুযোগ আসে আবারও। তার গোল কিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে বল চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডারের শট গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশিষ বসু।

১৮ মিনিটে ইমনের হেড যায় গোলবারের পাস দিয়ে। হামজারর কর্ণার থেকে মোরছালিরে উড়িযে মারা বলে হেড নেন ইমন। হেড পোস্টে রাখতে পারলে নিশ্চিত গোল পেত বাংলাদেশ। ম্যাচের ২০ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং চোটে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার তপু। তার পরিবর্তে নামেন রহমত মিয়া। ২৩ মিনিটে হৃদয়ের হেডে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। ভারতের ফ্রি কিক ক্লিয়ার কর গিয়ে হেড নেন, কিন্তু সেটি যায় গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে।

২৬ মিনিটে ইমনের কাছ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে উঠেন রাকিব। কিন্তু তার আক্রমণ কর্ণারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন ভারতের ডিফ্ডোর রাহুল। হামজার কর্ণার কিক থেকে বিপদে ফেলা যায়নি ভারতকে।

২৮ মিনিটে ভারতের লিস্টন কোলাসোর দুবল শট সহজেই ধরে ফেফলেন মিতুল। তিন মিনিট পর মিতুলের পরীক্ষা নেয় ভারত। বাম দিক থেকে লিস্টনের ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড গোল লাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু, এরপর ছোট বক্সের ভেতর থেকে ফারুক চৌধুরীর ফিরতি শট ঝাঁপিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আটকে কঠিন পরীক্ষায় উতরে যান মিতুল।

৩৭ মিনিটে ভাল সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠে বল পেয়ে একাই আক্রমণে ওঠেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড রাকিব। বক্সের বা কোন থেকে তার নেওয়া বা পায়ের শট লাফিয়ে আটকে দেন ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল। ৪১ মিনিটে সহজেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। বক্সে বল নিয়ে যখন জনি ঢুকলেন তার সামনে কেবলই ভারতের গোলরক্ষক। কিন্তু ওয়ান ওয়ান চান্সে ভিশালের সামনে গিয়ে শট নিতে তালগোল পাকিয়ে ফেললেন বসুন্ধরা কিংসের এই মিডফিল্ডার।

৪৮ মিনিটে রহমত মিয়িার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন ভারতের লিসটন। তবে আক্রমণ নিয়ে তাকে তাকে বক্সের কাছেই যেতে দেননি হামজা। ৫১ মিনিটে রাকিবের জোরালো শট কাপায় বক্সের ডান পাস। ৫৩ মিনিটে কর্নারের কাছ থেকে লিস্টনের উড়িয়ে মারা বলে মাথা ছোয়াতে পারেননি ছেত্রি। একটু পর দারুণ ট্যাকেলে দলকে বিপদমুক্ত রাখেন হামজা। এই সময় বাংলাদেশকে ভালোই চেপে ধরে ভারত। তিন মিনিট পর রাকিবের সেভে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

৬০ মিনিটে বাংলাদেশ শাহরিয়ার ইমন ও জনির পরিবর্তে চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে নামায়।

৬১ মিনিটে আবার জনি! বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারলেন না তিনি। এর খানিকবাদে জনি ও ইমনকে তুলে নেন কোচ।

৭২ মিনিটে পড়ে গিয়ে সুনীল ছেত্রির পায়ে বল তুলে দেন বাংলাদেশের হৃদয়। তার এমন ভুলে একটুর জন্য গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। ছেত্রির শট ডান দিকে লাফিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন মিতুল।

৭৫ মিনিটে রাকিবের বাড়ানো বলে ফাহিম বক্সের মধ্যে গোলের সুযোগ পেয়েও মিস করেন। দুই মিনিট পর হ্যাভিয়ের দুই সোহেল রানাকে এক সঙ্গে নামান হৃদয় ও মোরসালিনের জায়গায়। একাধিক খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেও ম্যাচের ফল পরিবর্তন করতে পারেননি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

৮৪ মিনিটে ছেত্রির দুর্বল হেড যায় বক্সের ডানপাস ঘেষে। ম্যাচের এক মিনিট আগে বাংলাদেশকে গোলবঞ্চিত রাখেন ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল।

এই দিনটার প্রতীক্ষা ছিল বহু দিনের। অবশেষে সে মাহেন্দ্রক্ষণটা এসেই গেল আজ। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়ে গেল হামজা চৌধুরীর।

বাংলাদেশ কেন হামজাকে এমন করে চেয়েছে, তার ছাপটা স্পষ্ট ছিল খেলায়। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার আজ অভিষেকেই আলো কেড়ে নিয়েছেন। তাতেই ভারত কেঁপে কেঁপে উঠেছে রীতিমতো।

তিনি যেমন পারফর্ম করেছেন, তাতে বাংলাদেশ দল তার অভিষেকে সেরা উপহারটা দিতে পারত একটা জয় দিয়ে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তা আর হলো কোথায়? তবে যা হয়েছে, তাও নেহায়েত মন্দ নয়, ভারতের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে ড্র করাটা যে চাট্টিখানি কথা নয়!

অভিষেকের শুরু থেকেই হামজা ছিলেন তার মতো ছন্দেই। তার শুরুর পজিশনটা ছিল মোহাম্মদ হৃদয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মাঝমাঠে ডাবল পিভোটে। সেখানে তিনি তার কাজটা ঠিকঠাক করে গেছেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে হামজা ছিলেন জয়ীর ভূমিকায়। স্লাইডিং ট্যাকল তার ট্রেডমার্ক অস্ত্র, লিস্টন কোলাচোকে বাম উইংয়ে একাধিকবার এই ট্যাকলে বোতলবন্দি রেখেছিলেন তিনি। 

তার ফলটা প্রথমার্ধ শেষের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশ এ অর্ধে কম করে হলেও ৫টা সুযোগ পেয়েছে, যার ৩টা অন্তত বিশাল সুযোগ। ওদিকে ভারত সুযোগ পেয়েছে মোটে ১টা। নিজেদের বিপদসীমা আগলে রেখে আক্রমণ শানানো, একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের কাজটা এমনই, হামজা তার এ ভূমিকায় উতরে গেছেন লেটারমার্ক পেয়ে।

তিনি স্রেফ সেখানেই আটকে থাকেননি। বল যেখানে, তাকেও ঠিক সেখানেই দেখা গেছে। বাংলাদেশের একাধিক আক্রমণ শুরু হয়েছে তার পা থেকে। ফরোয়ার্ডরা যদি একটু ক্লিনিকাল হতেন, তাহলেই কাজটা হয়ে যেত!

এরপর অধিনায়কের বাহুবন্ধনী হাতে না থাকলেও দলের অলিখিত অধিনায়ক ছিলেন হামজাই। দলকে রক্ষণে, আক্রমণে, মাঠে, মাঠের বাইরে সব জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাতেই কেঁপে গেছে ভারত। প্রতিবেশীদের ডেরা থেকে ‘আফসোসের’ ড্রয়ের সঙ্গে এও এক উপরি পাওনা বৈকি!

ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করেছে বাংলাদেশ। একেবারে খেলার প্রথম মিনিটে ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কেইত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড জনির পায়ে বল তুলে দেন। জনি একেবারে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও সাইড জালে শট নেন। কিছুক্ষণ পর হামজার নেওয়া এক কর্নারে ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল গ্রিপ করলেও শট নেওয়ার সময় বল বাধাগ্রস্ত হয়ে আবার ভারতের পোস্টের দিকে যায়।

‘আমাদের জেতা উচিত ছিল’

শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের এই রাতটা কখনো ভুলবেন না রাফিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের হয়ে ছেলে হামজার অভিষেক ম্যাচ দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, ‘এটা মাত্র শুরু। আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে সামনে। বাংলাদেশ দল খুব ভালো করেছে। আমরা খুব খুশি ম্যাচ দেখে।’

হামজার স্ত্রী অলিভিয়া চৌধুরীর অনুভূতিও একই। তাঁর মুখেও চওড়া হাসি। অ্যাওয়ে ম্যাচে এই ড্রটা যে জয়েরই সমান বাংলাদেশের কাছে। অলিভিয়া বলেন, ‘আমি ভীষণ খুশি। হামজা ভালো খেলেছে। বাংলাদেশ দলও ভালো খেলেছে। এই খেলাটাই আমরা আশা করছিলাম। আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে।’

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষিক্ত হামজা চৌধুরীকে। তাঁর কাছে যা প্রত্যাশা ছিল, পূরণ করছেন পুরোপুরিই। নিজের ও দলের পারফরম্যান্সে হামজা উচ্ছ্বসিত। তবে জয়টা বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন তিনি, ‘আমরা কিছু মিস করছি। ফুটবলে মিস হতেই পারে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও মিস হয়। ফলে এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। এটা আমাদের জন্য খারাপ দিন ছিল। তবে আমাদের জেতা উচিত ছিল।’

জাতীয় সংগীত যখন বাজে, সেই সময়ের অনূভুতির হামজা মুখে একটু অন্য রকমই শোনাল। প্রথমবারের মতো এমন অনুভূতি তাঁকে ভালো খেলতে আরও উজ্জীবিত করেছে। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হামজা বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরেছি, এতে আমি গর্বিত। তবে এক ড্রতেই শেষ নয়। আমরা অনেক দূর যেতে চাই।’

বাংলাদেশের গ্রুপের অন্য ম্যাচে কাল সিঙ্গাপুর-হংকং গোলশূন্য ড্র করেছে। এখন চার দলেরই পয়েন্ট এক করে। গ্রুপ সেরা দল যাবে ২০২৭ সালে সৌদি আরবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার।

এত দিন মনের ভেতর পুষে রাখা কথাটা আজ ড্র শেষে বলেও দিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছি। প্রথমার্ধে অনেক সুযোগ পেয়েও মিস করেছি। আমাদের জেতা উচিত ছিল। যাই হোক, আমরা এশিয়া কাপে খেলার আশা রাখি। আজকের পর সেটা সম্ভব মনে হচ্ছে।’

বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘ভালো ফল, গ্রুপে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট নিয়ে ফিরছি। তবে প্রথমার্ধে আমাদের সুযোগ ছিল স্কোরলাইন ১-০ কিংবা ২-০ করার। তাই সব মিলিয়ে কিছুটা হতাশ। দল খুবই ভালো করেছে, আরও ভালো করতে পারতাম। তবে এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক নিতে পারব আমরা।’

কোচ ক্যাবরেরার কম্বিনেশন বড়ই বিচিত্র। ঘরোয়া লিগে যারা নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না, তারা জাতীয় দলে একাদশে থাকেন। আর যারা ভালো পারফর্ম করেন তারা দলেই ডাক পান না। ইয়াসিন খান ও মিঠু ঘরোয়া লিগে পরীক্ষিত ডিফেন্ডার। তাদের প্রাথমিক তালিকায় রাখলেও ক্যাম্পে ওঠাননি। আজ তপু বর্মণ ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের সংকট হয়। তখন শাকিল আহাদ তপুকে মেক শিফট সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতে হয়। হামজার পর আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মার শাকিল আহাদ তপু। কোচ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তপুর প্রশংসা করলেও তার ২৩ জনের স্কোয়াডে তপু ও তারিক কাজী ছাড়া অন্য কোনো ব্যাকআপ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নেই সেই দুর্বলতার বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন।

হামজাকে নিয়েও তিনি খুশি, ‘সে ভালো খেলেছে। যে পর্যায় থেকে সে এসেছে, সেই মান অনুযায়ীই খেলেছে। অন্যরা তাকে সহায়তা করেছে।’

বাংলাদেশ দল ভারতকে তেমন সুযোগই দেয়নি। এটাই এ ম্যাচ থেকে বড় প্রাপ্তি। গোল নষ্ট করার যে আক্ষেপ সেটিও আসলে একঅর্থে জয়ের অনুভূতিই দিচ্ছে দলকে। ম্যাচ থেকে ভারতকে ছিটকে দেওয়া যেত প্রথমার্ধেই।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *