:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবরে ছাত্র-জনতার মিছিলে গার্মেন্টসকর্মী সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহতের ভাই মো. ইব্রাহীম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ইবরাহীম খলিল।
মামলার আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ২৫ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী। দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় আদাবর থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। সে সময় স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্য সন্ত্রাসী তথা আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে একাধিক নিহত ও অনেকেই আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হলে ভিকটিম সোহেল রানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ও পুলিশ না থাকায় হাজার হাজার আহত ও শত নিহত রোগীর মধ্যে ভিকটিম সোহেল রানার পোস্টমর্টেম করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করে।
পরে ভিকটিমের ভাই ও আত্মীয়-স্বজন ভিকটিমকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ পোস্টমর্টেম না থাকায় দাফনে অনিহা প্রকাশ করে। এরপর বাদী তার নিহত ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দেউলা গ্রামের স্থানীয় ঠিকানায় দাফন সম্পন্ন করেন।