এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ২১ বছরের সর্বনিম্ন

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এই পাসের হার গত ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ইংরেজি, গণিত এবং আইসিটি বিষয়ে দুর্বলতার কারণেই এ বছর ফল খারাপ হয়েছে।

ফল প্রকাশের সময় তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থী হয়তো যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেনি।

তিনি বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেইল করেছে, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম, গলদ আছে ।’

এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘এমন বাস্তবতা আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। আমরা সেটা ফ্যাব্রিকেট (বানানো) করিনি। এ ফলাফল খারাপের পাশাপাশি রিয়ালও (বাস্তব) বলা যায়। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ব্যাপারে বিমুখ, টেবিল থেকে দূরে ছিলো বলে আমরা ধারণা করছি। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের পরবর্তী দায়িত্ব এর কারণ অনুসন্ধান করা।’

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিবিড় মূল্যায়নের পর ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেন কোনো ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের আমরা সময় বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ফলে তারা খাতা মূল্যায়নের পর্যাপ্ত সময় পেয়েছেন এবং খুব মনোযোগসহকারে কাজ করেছেন। একইসঙ্গে প্রায় এক দশক পর এবারই প্রথম পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের সম্মানী বোর্ডের নিজস্ব তহবিল থেকে বাড়ানো হয়েছে। আমরা এর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। ফলে পরীক্ষকদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল। 

খাতা মূল্যায়নে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু অভিযোগ আমরা দেখেছি। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ জন শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের বোর্ডের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি সবকিছু নির্ভুল রাখতে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়ছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১০ হাজার ১৩৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ৭০৭ জন, যশোরে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৯৭ জন, বরিশালে ১ হাজার ৬৭৪ জন, সিলেটে ১ হাজার ৬০২ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ২৬০ জন, ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬৮৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জন এবং কারিগরিতে ১ হাজার ৬১০ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।

মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোতে। তাদের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড মিলে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

২০০৩ সাল থেকে এইচএসসিতে জিপিএ পদ্ধতি চালু হয়। ২০০৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। ২০০২ সালে ৩২৭ জন, ২০০৩ সালে ১ হাজার ৩৮৯ জন, ২০০৪ সালে ৮ হাজার ৫৯৭ জন, ২০০৫ সালে ১৫ হাজার ৬৩১ জন, ২০০৬ সালে ২৪ হাজার ৩৮৪ জন, ২০০৭ সালে ২৫ হাজার ৭৩২ জন, ২০০৮ সালে ৪১ হাজার ৯১৭ জন।

২০০৯ সালে ৪৫ হাজার ৯৩৪ জন, ২০১০ সালে ৫২ হাজার ১৩৪ জন, ২০১১ সালে ৬২ হাজার ২৮৮ জন, ২০১২ সালে ৮২ হাজার ২১২ জন, ২০১৩ সালে ৯১ হাজার ২২৬ জন, ২০১৪ সালে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন, ২০১৫ সালে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন, ২০১৭ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১, ২০১৮ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯, ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী। ২০২০ সালে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ২০২১ সালে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। ২০২২ সালে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।

২০০৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২০০৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশে। এরপর থেকে পাসের হার ক্রমেই বাড়তে থাকে।

২০০৫ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছিলেন ৫৯ দশমিক ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া ২০০৬ সালে পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৬৫, ২০০৭ সালে ৬৫ দশমিক ৬০, ২০০৮ সালে ৭৬ দশমিক ১৯, ২০০৯ সালে ৭২ দশমিক ৭৮, ২০১০ সালে ৭৪ দশমিক ২৮, ২০১১ সালে ৭৫ দশমিক ০৮, ২০১২ সালে ৭৮ দশমিক ৬৭, ২০১৩ সালে ৭৪ দশমিক ৩০, ২০১৫ সালে ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এরপর ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সে বছর ফরম পূরণ করা সব শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়, যেটিকে অটোপাস বলা হয়। অর্থাৎ, ২০২০ সালে পাসের হার হয় ১০০ শতাংশ।

করোনার কারণে এরপর কয়েক বছর কখনো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, কখনো চার বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সে বছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

সবশেষ ২০২৪ সালে পূর্ণ নম্বর, পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ সময়ে ফেরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তবে কয়েকটি পরীক্ষা হওয়ার পর শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। এতে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে পরীক্ষা আর না নেওয়ার জন্য শুরু হয় আন্দোলন। তাতে বাধ্য হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা না নিয়ে এসএসসির ফলাফল বিবেচনা করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি বছরে এসএসসি ফলাফল প্রকাশের পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে যে উদ্বেগ উঠেছিল তা মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।

তিনি বলেন, ‘আমি সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি— যেন ভবিষ্যৎ পরীক্ষায়, বিশেষ করে এইচএসসি মূল্যায়নে, সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি সর্বোচ্চ ন্যায্যতা বজায় রাখা হয়, কিন্তু একই সঙ্গে যেন ফলাফলের বাস্তবতা বিকৃত না হয়। আমরা অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে সন্তুষ্টি নয় বরং ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততাকে বেছে নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘উত্তরপত্র মূল্যায়নের নিয়ম অনুসারে খাতা দেখা হয়েছে। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইংরেজি, গণিত, আইসিটি বিষয়ে ফেইল করেছেন। এবার অতিরিক্ত সময় নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছেন পরীক্ষকরা। এটাই প্রকৃত ফলাফল।’

তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী।

ফলাফলে এবারেও মেয়েরা এগিয়ে 

সামগ্রিক ফলাফলে পাশের হার কমে গেলেও মেয়েরা এবারও এগিয়ে রয়েছে। উত্তীর্ণের হার ও জিপিএ–৫ প্রাপ্তির দিক থেকে তারা ছেলেদের পেছনে ফেলেছে, যা গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।

সব বোর্ড মিলিয়ে মেয়েদের পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যেখানে ছেলেদের পাশের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও মেয়েরা এগিয়ে। ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছে, যা ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্রের চেয়ে বেশি।

বোর্ডভিত্তিক ফলাফলের চিত্র

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকার ফল সবচেয়ে ভালো, পাশের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে বরিশাল বোর্ড, পাশের হার ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং রাজশাহী বোর্ড, পাশের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ।

অন্যদিকে, ৫৫ শতাংশের নিচে পাশের হার থাকা বোর্ডগুলো হলো কুমিল্লা (৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ), যশোর (৫০ দশমিক ২০ শতাংশ), চট্টগ্রাম (৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ), সিলেট (৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ) ও ময়মনসিংহ (৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

ফলাফলে দেখা যায়, ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। বিপরীতে ২০২টি প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি, অর্থাৎ পাশের হার শূন্য শতাংশ।

এ বছর ২৬ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণের নিয়ম

HSC Result 2025 পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। টেলিটক সিম ছাড়াই শুধু অনলাইন পোর্টালে গিয়ে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন:

স্টেপ-১

https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd-এ প্রবেশ ও তথ্য প্রদান করতে হবে।

পোর্টালে লগইন : পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আপনাকে প্রথমে এই অফিসিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd তথ্য পূরণ : নির্ধারিত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করুন এবং বোর্ড ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার শিক্ষা বোর্ড নির্বাচন করুন।

সাবমিট : সব তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার পর ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করুন।

স্টেপ-২ : মোবাইল নম্বর ও বিষয় নির্বাচন

পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমটি দিতে হবে।

মোবাইল নম্বর প্রদান : একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন। পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে এই নম্বরে এসএমএস (SMS) পাঠানো হবে।

বিষয় নির্বাচন : আপনার বর্তমান বিষয়ভিত্তিক রেজাল্ট স্ক্রিনে দেখাবে। আপনি যে এক বা একাধিক বিষয়ে রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে চান, সেই বিষয়গুলো নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

স্টেপ-৩ : ফি প্রদান ও চূড়ান্ত জমা

পুনর্নিরীক্ষণের জন্য ফি পরিশোধ করা এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ।

আবেদন ফি : প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা (TK 150/-) হারে ফি প্রযোজ্য হবে।

পেমেন্ট মাধ্যম : ফি পরিশোধের জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন।

আবেদন নিশ্চিতকরণ : সফলভাবে ফি পরিশোধ করার পর আবেদনের পোর্টালে ফিরে এসে অবশ্যই ‘জমা দিন’ (Submit) বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি নিশ্চিত করুন।

ফল পুনর্নিরীক্ষণসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

ফি ফেরত নেই : একবার ফি জমা দিলে আবেদন করা বিষয়গুলো আর বাতিল করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না।

সময়সীমা : আবেদন শুরু হবে ১৭ অক্টোবর থেকে এবং চলবে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই আবেদন শেষ করতে হবে।

অতিরিক্ত বিষয় যোগ : ফি দিয়ে একবার জমা দেওয়ার পরেও চাইলে আরও কয়েকটি বিষয়ে আবেদন যুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে না।

ফল প্রকাশ : পুনর্নিরীক্ষণের ফল সাধারণত আবেদন শেষ হওয়ার প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *