:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
মাদক দিয়ে অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত।
হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ওঠা তিনটি অভিযোগের প্রতিটিতেই হান্টারকে অপরাধী হিসেবে পেয়েছে উইলমিংটন ফেডারেল আদালতের ১২ সদস্যের জুরি বোর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্টের সন্তানদের মধ্যে হান্টারই প্রথম যিনি কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। এই রায়কে ডেমোক্রেটরা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ সম্প্রতি ফৌজদারি অপরাধে শাস্তি পাওয়া ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রায় ঘোষণার পর ৫৪ বছরের হান্টার তার মাথা ঈষত অবনত করে রাখেন। এ ছাড়া তিনি সামান্যই প্রতিক্রিয়া দেখোন। এরপর তিনি তার আইনজীবী অ্যাবে লোওয়েলের পিঠ চাপড়ান এবং লিগ্যাল টিমের অন্য এক সদস্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর কোন মন্তব্য না করেই হান্টার আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
এই রায়কে মেনে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিচারব্যবস্থার ওপর তার আস্থার কথা তুলে ধরে বলেছেন, তার ছেলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করেননি আদালত। তবে ১২০ দিনের মধ্যে রায় দিতে হবে। এই হিসাবে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাস খানেক আগেই রায় আসতে পারে।
অভিযোগ অনুসারে ১৫ থেকে ২১ মাসের সাজা হতে পারে হান্টারের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসামিরা কখনও কখনও এর চেয়ে কম সাজা পান। তবে বিচারপূর্ব নিয়ম মেনে চললে জেল নাও হতে পারে।
গত ৩০ মে একটি অপরাধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে তিনি প্রথম, যাকে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন। তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন।
এ মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময়ই নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তাঁকে ভুগতেও হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্তির কথা স্বীকার করেন।
২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তাঁর আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন।