■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক অধিকার ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এই চার কমিশনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ, শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন শিরীন পারভীন হক।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই চার কমিশনের সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা জানিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শিক্ষা খাতে কোনো কমিশন গঠন করা হচ্ছে –কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষা সংস্কার কোন পথে গেলে আধুনিক ও যুগোপযোগি এবং বতর্মান প্রজন্মের চাহিদাকে প্রতিফলন করে এমন সব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের কাজ সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক কমিশন প্রধানকে বলা হয়েছে তিনি তার কর্মপরিধি ঠিক করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে বড় পরিসরে একটা ধারনা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কর্মপরিধি এবং সংস্কারের ক্ষেত্র কি হবে সেটা উনারা ঠিক করবেন।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কী হয়, পরবর্তীতে সেটি জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্র সংস্কারে আরও ৬টি কমিশন গঠিত হয়। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করে সরকার। আর ৬ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশিত হয়। এসব কমিশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ হিসেবে কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারকে। সদস্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে শিক্ষাবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার হিসেবে ডা. জাহেদ উর রহমান রয়েছেন।