:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিতের মধ্যে ইসরায়েলি বিমান ও ড্রোন হামলায় গাজায় অন্তত ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার দেশটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে তিনজন এবং গাজা শহরে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে একদিনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল হাসপাতালের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। গাজা নগরীতে দুটি বাড়িতে হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক হামলা। এ হামলা চলাকালে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশিকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রাখে।
ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দেয়। ওই দিন থেকেই তারা হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলে অবিরাম হামলায় গাজায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রায় পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে ফিলিস্তিনে কমপক্ষে ৩৪,৫৩৫ জন নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৪৭ জন নিহত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৫৩৫ জনে দাঁড়ালো।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার মধ্যদিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ৭৭,৭০৪ জন আহত হয়েছে।