দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলা

■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■

কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় দোহারের বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এতে বলা হয়েছে, হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে কোথায় হামলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিবৃতিতে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, কাতারে অবস্থানরত হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এ হামলার জন্য দায়ী, এমন বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ওপর বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বৈঠকটিতে হামাসের অন্যতম প্রধান নেতা খালেদ মাশাল উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জর্ডানে একবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল হামাস নেতাদের।

হামাসের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, দোহায় হামাসের মধ্যস্থতাকারী একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করছিল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল।

হামলায় টার্গেট করা হলেও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব নিরাপদ আছে। তবে এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খালিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহকারী। তিনজন দেহরক্ষীর সঙ্গেও এখনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আল-হিন্দি বলেন, হামাসের নেতাদের হত্যা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। হামলার সময় তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বিষয়ক বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলেন।

আল-হিন্দি বলেন, যেকোনো প্রাণহানিই বেদনাদায়ক। সংগঠনের নেতৃত্বের রক্ত যেমন মূল্যবান, তেমনি প্রতিটি ফিলিস্তিনি শিশুর রক্তও সমানভাবে মূল্যবান।

এদিকে দখলদার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক শাখার কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে আবাসিক ভবনে চালানো হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।

মাজেদ আল আনসারি আরও বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের বেপরোয়া আচরণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের ধারাবাহিক ছিনিমিনি খেলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। একই সঙ্গে কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে চালানো যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও কাতার রুখে দাঁড়াবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা দ্রুত জানানো হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *