■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তাৎক্ষণিক তা তিনি জানাতে পারেননি।
আমিনুল হক বলেন, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোহরাওয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিবরিয়া খুনের ঘটনায় পল্লবী-মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পল্লবী থানার ওসি মফিজুর রহমান গুলিতে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের নেতা ছিলেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসেছিলেন গোলাম কিবরিয়া। এ সময় মোটরসাইকেলে এসে তিন যুবক দোকানের ভেতরে ঢুকে কিবরিয়ার মাথা, বুক ও পিঠে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
গোলাম কিবরিয়াকে যারা গুলি করেছে, তাদের তিনজনেরই মাথায় হেলমেট ছিল। যুবদল নেতার বুকে, পিঠে ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাতটি গুলি করে তারা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি, একজনের গায়ে শার্ট ও আরেকজনের গায়ে শার্টের ওপর শীতের চাদর জড়ানো ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল। এ সময় দোকানে ৯ জন ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকান থেকে আগের লোকজন বেরিয়ে যান। আর দুজন লুকিয়ে পড়েন। কিবরিয়াকে দুজন এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে আরও তিনটি গুলি করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত বেরিয়ে যায়।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, সন্ধ্যায় পল্লবী থানা যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আরও বলেন, ‘আমরা একজনকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছি।’
