■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব এবং এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতার দেখিয়েছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেফতার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন।
যাদেরকে হাজির করতে বলা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিকই এলাহী চৌধুরী; সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তাদেরকে আগামী ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলাম। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর এ আদালতে উপস্থিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদেশের পর ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তিনটি অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছি। এর একটা ছিল আগে যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছিল এবং যারা ওয়ারেন্ট ইস্যুর আগে গ্রেফতার হয়েছিল তাদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য দুটি আবেদন করা হয়েছে। সেই অ্যাপ্লিকেশনে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, একটি পিটিশনের মাধ্যমে যে ১৪ জন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন তাদের গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের উপস্থিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।