:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয় বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার লাগানোর কাজ শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। এর আগে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিন নং-৪২১৯ থেকে পাশের ক্যাথ ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানান, হৃৎপিন্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরের উপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।
চিকিৎসকরা জানান, হৃদযন্ত্রকে নিয়মিত ছন্দে চালতে সাহায্য করে পেসমেকার। হৃদযন্ত্রের স্পন্দন ঠিকমতো চলছে কিনা সেটাও এই যন্ত্র তদারকি করে। হৃদপিণ্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরে উপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।
খালদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেন্টও লাগানো ছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবার গভীর রাতে খালেদা জিয়ার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। অর্থাৎ তার হৃদযন্ত্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত চলাচল সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে পারেনি। এজন্য তাকে দ্রুত গভীর রাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এছাড়া খালেদা জিয়ার অন্য সমস্যাগুলোও প্রকট আকার ধারণ করে। পুরো চেক আপ এবং সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে পেসমেকার বসানো হয়েছে।
ওই চিকিৎসক জানান, এবারই প্রথম খালেদা জিয়া একটু নার্ভাস ছিলেন। শারীরিকভাবেও বেশ দুর্বল তিনি। তবে সফলভাবে তার পেসমেকার বসানো হয়েছে। তবে তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে ওই চিকিৎসক জানান
শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধিজনিত কারণে হঠাৎ অসুস্থতার কারণে গত শুক্রবার গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিসাধীন। শনিবার (২২ জুন) থেকে এই পর্যন্ত কয়েক দফা মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদপিন্ডে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এর নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে সা্বেক প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন।
মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা.জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।