■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) খোদা বকশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। বুধবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরীকে।
এদিন তিনজনকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব দেন মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) খোদা বকশকে দেওয়া হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখভালের দায়িত্ব।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও মানুষের মধ্যে নানা কথা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী। তবে কী কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল খোদা বখশ চৌধুরীর। কিন্তু এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
গুঞ্জন ওঠে, বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর স্থলে বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
১৯৭৯ সালে পুলিশে যোগ দেওয়া খোদা বকশ আইজিপির দায়িত্ব পান ২০০৬ সালের নভেম্বরে।
জোট সরকার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তিনি আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় তাকে।
এরপর ২০১০ সালের মার্চে স্বেচ্ছায় অবসরে যান খোদা বকশ।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও এভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী সি আর আবরারকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আমিনুল।
