■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানান।
বিসিএসে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের অন্যদের মতো নির্ধারিত ফি’র বাইরে বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
এর আগে বিসিএসের আবেদন ফি ছিল ৭০০ টাকা। যা কমিয়ে ২০০ টাকা করা হলো। সেই সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি ও ব্যাংকে চাকরির আবেদন ফিও সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে আবেদনের ক্ষেত্রে আগে ছিল ৭০০ টাকা, পিএসসি প্রস্তাব করেছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু সচিব কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা হবে ২০০ টাকা। বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ফি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে আদেশ জারি করা হবে। অর্থ বিভাগের মাধ্যমে আরেকটি আদেশ জারি করা হবে। ব্যাংক, বিমা, আধা-সরকারি যেটাকে আমরা বলি এক্সটেনশন অব দ্য গভর্নমেন্ট, এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফিও সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বিষয়টি মানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক-বিমাতে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকাও আবেদন ফি নিয়ে থাকে। চাকরি হয় দুজনের হয়তো, আবেদন করে ২০০ জন।’
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আলাদা ফি থাকবে না জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘বিসিএসে যারা প্রতিবন্ধী প্রার্থী তাদের আলাদা ফি ছিল ১০০ টাকা। এটাকে কমিয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছিল। সাধারণ প্রার্থীর চেয়ে অতিরিক্ত এই টাকা তারা দিত, তাদের জন্য স্পেশাল অ্যারেজমেন্ট। আজ থেকে এই অতিরিক্ত টাকাটাও দেওয়া লাগবে না।’ ৪৭ তম বিসিএস থেকে সবাই ২০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। হাসিনার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে জোর দাবি জানানো হয়। অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরাও এ নিয়ে সরব ছিলেন। যার প্রেক্ষিতে আবেদন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।