:: তাহসিন আহমেদ ::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ‘মিট পোস্টক্রসার ফ্রম বাংলাদেশ’ (Meet Postcrosser from Bangladesh) শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শন বিভাগের ২০২৮ নম্বর রুমে এই সেমিনারে ঢাবির প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বাংলাদেশি পোস্টক্রসারদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ রেইনার এবার্ট (Dr. Rainer Ebert), যিনি কানাডার মন্ট্রিলে সেন্টার ডি রেচের্চে এন এথিকের একজন আইজিটিং রিসার্চ ফেলো এবং অক্সফোর্ড সেন্টার ফর অ্যানিমাল এথিক্সের একজন ফেলো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি পোস্টক্রসার মেজর মোহাম্মাদ আমিন, তরিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও সাওয়াদ আমিন রোজা।
উল্লেখ্য, ১৮৪০ সালে লন্ডনভিত্তিক লেখক থিওডোর হুকের কাছে বিশ্বের প্রথম ছবি পোস্টকার্ড পাঠানো হয়েছিল, পোস্টকার্ডটি বিভিন্ন অঞ্চল এবং সংস্কৃতি জুড়ে ছবি এবং চিন্তাভাবনা আদান প্রধান করে নেওয়ার মাধ্যম হিসাবে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থানের কারণে সেই জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে একটি ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বার্তা পাঠানোর চেয়ে বেশি সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে, যা পোস্টকার্ডগুলিকে এখন আরও বেশি অর্থবহ করে তোলে৷ এক সময় এর বিকল্প ছিল না. একটি পোস্টকার্ড লেখার জন্য ধীরে ধীরে এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়। এটি গ্রহণ করা একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে একটি বার্তা পাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি ব্যক্তিগত মনে হয়৷
একটি পোস্টকার্ড হল স্বীকৃতির একটি বাস্তব কাগজ এবং আপনার হাতে থাকা কাগজের টুকরোটি আপনার কাছে অন্য ব্যক্তির চিন্তাভাবনা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক দূর কিংবা অনেক দেশ ভ্রমণ করে।